লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিস রোগীরা ঘনঘন মূত্রত্যাগের সমস্যায় ভোগেন। তবে ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ শুধু ডায়াবেটিস নয় বরং বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ বা ক্যানসার এমনকি মানসিক চাপের কারণেও এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আর কোন কোন রোগের
মূত্রনালির সংক্রমণ
কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রাশয় ইত্যাদি মূত্রতন্ত্রের অংশ হিসেবে বিবেচিত। যখন এই অংশগুলোর যে কোনোটিতে সংক্রমণ ঘটে, তখন তাকে মূত্রনালির সংক্রমণ বলা হয়। এর মধ্যে আছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও ফেনা হওয়া।
প্রোস্টেট সংক্রমণ
পুরুষরা যদি বারবার প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন তাহলে শুধু তা ডায়াবেটিস নয় বরং প্রোস্টেট সংক্রমণ বা প্রোস্টেট বড় হওয়ার কারণও হতে পারে। এই গ্রন্থি শুধু পুরুষদের মধ্যে থাকে, যা মূত্রাশয়ের নীচে থাকে ও বীর্য উৎপন্ন করে।
মূত্রাশয়ের সমস্যা
মূত্রাশয়ের সমস্যা হলে প্রচণ্ড ব্যথা পেটের নিচের অংশ। একই সঙ্গে চাপ অনুভূত হয়। এতে বারবার প্রস্রাব হতে পারে ও প্রতিবারই ব্যথা হয়।
মানসিক চাপ
জানলে অবাক হবেন, মানসিক চাপ বা উদ্বেগও কিন্তু ঘনঘন প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়ায়। কারণ যখনই পেটের পেশী টানটান থাকে, তখনই এর উৎপাদন বেড়ে যায়। আর পেশীগুলো চাপের মধ্যে শক্ত হয়ে যায় কোনো আঘাত বা বিপদ থেকে রক্ষা পেতে।
মূত্রাশয় ক্যানসার
ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা মূত্রাশয় ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। যদিও এটি বিরল তবে উপেক্ষা করা যায় না। এ রোগে হঠাৎ প্রস্রাবের চাপ ও প্রস্রাবের সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া হয়।
আপনার যদি ওভারঅ্যাক্টিভ মূত্রাশয় থাকে তাহলেও আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এতে প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের চাপ থাকে।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যাকে ডায়াবেটিস ভেবে ভুল করবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান, যিনি আপনাকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে সঠিক প্রতিকার ও ওষুধের পরামর্শ দেবেন।
সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।