বিনোদন ডেস্ক : বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তা ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জন। আবেদ আলীর সূত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান এবং তার মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম।
গুজব ছড়িয়ে পড়ে মা তাহমিদা বেগম পিএসসি’র চেয়ারম্যান থাকাকালে ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান! ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই পরীক্ষাটি বাতিল হয়, পরে ভাইভা হলে বাদ পড়েন তাহসান।
যদিও সংবাদ যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বলছে, তাহসানকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি সঠিক নয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া ২৪তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন কাজী এহসানুল হক।
এমন খবরও ছড়ায়, তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী। তবে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাহসান দাবি করেছেন, সৈয়দ আবেদ আলী কোনো দিন তার মায়ের গাড়িচালক ছিলেন না। এসব খবর ভুয়া।
বুধবার রাতে তাহসান নিজের ফেসবুক পেজে এসব সংবাদ নিয়ে মনক্ষুন্ন হয়ে একটি গানের লাইন এবং সেই গানের ইউটিউব লিংক দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। ‘কষ্ট’ শিরোনামে গাওয়া সেই গানের লাইনগুলো এমন-
জীবন আজও হলুদ সংবাদের পাতায় মোড়া
কাঠগড়ায় আসামি আমি
তোমার নীরব ওই বিবেক
কেন আত্মহত্যা মহাপাপ?
কেন সমাজদর্শন এতো নিষ্ঠুর?
কোথায় মানবিকতাবোধ তোমার?
আমার কষ্টে তোমার অসুস্থ হাসি
তবে কি ছয় বছর আগের এই গানের সাথে বর্তমান সময় মিল পাচ্ছেন তাহসান খান? তাই কি নিজের গাওয়া গানটি তুলে দিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন?
৯ ঘণ্টা আগে দেয়া তাহসানের এই স্ট্যাটাসে ১০ হাজার প্রতিক্রিয়া এসেছে। যাদের অধিকাংশই তাহসানকে সাপোর্ট করছেন। মন্তব্যের ঘরেও ভক্ত-অনুরাগীরা তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
ইউসুফ ইফতি নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘তাহসানকে আমরা যতটুকু জানি সেটা কিন্তু মেধার কারণেই। যিনি বাংলাদেশের একজন গর্ব। তাই অজ্ঞ মানুষজন কে কী বললো তাতে কিছু যায় আসে না। ইগনোর করেন।’
‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম
জান্নাতুল ফেরদৌস শান্তা নামের এক নারী লিখেছেন, ‘৬ বছর আগের গানের সাথে বর্তমান সময়টা অদ্ভুতভাবে মিলে গেছে। বর্তমান সময়ে মানুষ একটা বার্তা শুনলেই সেটা নিয়ে ট্রল করা শুরু করে, কিন্তু যারা ট্রল করে তারা নিজেরাও ঠিল ভুল জানেন না। সত্য মিথ্যা যাচাই করে না। কারো সম্পর্কে কিছু বলতে হলে তার আগে অবশ্যই তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হয়, সত্য মিথ্যা যাচাই করে তারপর খবর ছড়ানো উচিত। এতে অন্তত কোনো নির্দোষ মানুষ বিপাকে পড়বে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।