৮০-৯০ শতাংশ মানুষ সড়ক আইন মানে না : অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

জুমবাংলা ডেস্ক : সড়কে চলাচলকারী ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ আইন মানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান

pollice commissioner

তিনি বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ আইন লঙ্ঘনে অতিরিক্ত টাকা জরিমানা করার উদ্দেশ্য ছিল যাতে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় ও মানুষ আইন মেনে চলে। কিন্তু বাস্তবে ই ভিন্ন চিত্র। সড়কে চলাচলকারী ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ হয়ত আইন জানেন না অথবা জানলে ও মানেন না। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও আইন মানি না।’

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে অবসর হলে অনুষ্ঠিতব্য তেজগাঁও বিজি প্রেস খেলার মাঠে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘আপনারা জানেন ৫ আগস্টের পর থানা ও ট্রাফিক পুলিশ কেউই স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেনি। তখন জনগণ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিল, সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গিয়েছিল, মানুষ তখন পুলিশের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিল।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ছাড়া একটি সভ্য সমাজ কল্পনা করা যায় না। পুলিশ সমাজের সাধারণ মানুষেরই অংশ। পুলিশ সদস্যরা এ সমাজেরই সন্তান। তাই আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়াটা যেমন পুলিশের কাজ তেমনি তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করাও আপনাদের কর্তব্য।’

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ মামলা বা জরিমানা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ পরিবহনের জরিমানার টাকা বৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য ছিলো, যাতে করে জরিমানার টাকা বেশি হলে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, আইন মেনে চলে। তবে বাস্তব চিত্র হলো, আমাদের দেশের ৮০-৯০% লোক যারা সড়কে চলাফেরা করেন, তাদের অনেকেই হয়ত, আইন জানেন না অথবা জানলে ও মানেন না। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও আইন মানে না। সুতরাং, রাস্তার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বেপারোয়া ও বিশৃঙ্খল যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা আইন মানার জন্য বিভিন্ন পরিবহনের পর জরিমানা আরোপ করে থাকি।’

সিটিজেন ফোরামের মতবিনিময় সভায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, ‘তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হলো ব্যবসাবান্ধব অঞ্চল। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস এখানে। আইনশৃঙ্খলা যদি ভালো না থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য কখনও ভালো হবে না।’

এ সময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও আইনশৃঙ্খলাকে একে-অপরের পরিপূরক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,, নগরবাসীর সহযোগিতায় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারছি। এভাবে যদি আপনারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। তাহলে আপনাদেরকে পুলিশী সেবা দেওয়া আরও সহজ হবে।’

ফেনীর মুহুরী নদীতে অবৈধভাবে বালু তোলার অপরাধে ৩৫ ড্রেজার জব্দ

মতবিনিময় সভায় ছাত্র-জনতা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ রুহুল কবীর খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলন অংশ নেন।