লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীর স্লীম রাখতে মানুষ খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে কতই না করছে। আবার হৃদপিন্ড বা হার্ট সুস্থ রাখতে অনেক সচেতন। কিন্তু যকৃৎ বা লিভারও যে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, একথা ভুলেই আছেন। এর যে যত্ন দরকার অথবা এই অঙ্গটিও যে অভ্যাসগত কারণে খারাপ হতে পারে তার প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
শরীরের যত ক্ষতিকারক টক্সিন জমে, তা শরীর থেকে ছেকে বের করে দেয় এই লিভার। লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যায়। এর ফলে শরীরের একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। তাই শরীর স্বাভাবিক রাখতে লিভার সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।
নিজেদের অজান্তেই বেশ কয়েকটি অভ্যাস এই লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। সময় মতো সতর্ক না হলে, অকালেই লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
এবার জেনে নেওয়া যাক যে ৯টি অভ্যাস লিভারের জন্য ক্ষতিকর:
১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকার অভ্যাসও লিভারের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর! দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলতে থাকলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
২. অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার পরও আলস্য করে পায়খানা-প্রস্রাব চেপে রেখেই শুয়ে থাকেন। এই অভ্যাসও লিভারের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর! এই অভ্যাস যতো দীর্ঘ হবে ততো লিভার দুর্বল হবে।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা খাবার-দাবার খাওয়ার অভ্যাস লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ফলমূল বা কাঁচা সবজি খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সেগুলো হজম করাতে পরিপাকতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর প্রভাব পড়ে লিভারের উপর।
৪. দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা- দু’টোই লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর। এই অভ্যাসের ফলে হজমের নানা সমস্যাসহ শরীরের একাধিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে লিভারের উপরে।
৫. মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ খেলে লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ বিশেষ করে ব্যথা কমানোর ওষুধ অতিরিক্ত খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। এ ছাড়াও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬. অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপানের অভ্যাস অকালে লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অ্যালকোহলের ক্ষতিকর উপাদান লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে।
৭. খারাপ তেলে ভাজা খাবার বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারে।
৮. অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর। কোন পদ খুব পছন্দ হয়েছে বলে অনেকেই দৈনন্দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। এর ফলে হঠাৎ করে লিভারের উপরে বেশি চাপ পড়ে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা।
৯. ক্ষতিকর রাসায়নিক রং যুক্ত যে কোন খাবারই লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু কৃত্রিম রং বা স্বাদ-যুক্ত খাবার-দাবার অনেকেরই পছন্দ। এরকম খাবার নিয়মিত খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে লিভার সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগব্যাধি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।