মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। একটি অঙ্গে কোনো রকম গন্ডগোল হলে অন্যান্য অঙ্গেও তার প্রভাব পড়তে পারে। কিডনি বা বৃক্ক দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
কিডনির সমস্যা সময়মতো সামলানো না গেলে প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গগুলো মানুষ অবহেলা করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হলো পা ফুলে যাওয়া।
শরীরের বিভিন্ন অংশে তরল পদার্থ জমে গেলে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ ফুলে যেতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ইডিমা (Edema)। সাধারণত কিডনি সমস্যার কারণে পায়ের গোড়ালি ও চোখের নিচে জমা হয় তরল।
অনেক সময় কিডনির সূক্ষ্ম নালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেখা দেয় নেফ্রোটিক সিনড্রোম। এই সমস্যায় ফুলে যেতে পারে পা। এছাড়া কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার ফলেও পা ফোলার ঘটনা ঘটে। খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীরের পেশিতে টান লাগতে পারে।
মূলত ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যার কারণেও পা ফুলে যেতে পারে। তাই পায়ের পাতা ও গোড়ালি বারবার ফুলে গেলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।