নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি তার ট্রানজিশন টিমের সহ-সভাপতি (কো-চেয়ার) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও খ্যাতনামা পাকিস্তানি-আমেরিকান আইনবিদ লিনা মালিহা খানকে নিয়োগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মামদানি এ ঘোষণা দেন।

৩৪ বছর বয়সি জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। তিনি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এ শহরের নেতৃত্বে আসবেন।
৩৬ বছর বয়সি লিনা খান বাইডেন প্রশাসনে এফটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন তিনি তিনজন অভিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে মামদানির ট্রানজিশন টিমে নেতৃত্ব দেবেন।
এক বিবৃতিতে লিনা খান বলেন, নিউইয়র্কবাসী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—এখন সময় এসেছে এমন একটি শহর গড়ার, যেখানে সাধারণ মানুষও স্বস্তিতে বাঁচতে পারে। আমি উচ্ছ্বসিত, কারণ জোহরান এমন একটি টিম গড়ছেন যা নিউইয়র্ক সিটিতে নতুন যুগের সূচনা করবে এবং ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বাইডেন প্রশাসনের সময় লিনা খান অ্যান্টিট্রাস্ট ও ভোক্তা সুরক্ষা নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এফটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি করপোরেট একীভবনের ওপর নজরদারি বাড়ান এবং নাগরিকদের অন্যায্য ব্যবসায়িক প্রথা—যেমন ‘জাঙ্ক ফি’ ও বাধ্যতামূলক সালিশি চুক্তি—থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেন।
প্রগতিশীল মহল তার করপোরেট শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানকে প্রশংসা করে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ‘বিগ টেক’ বিরোধী নীতি সিলিকন ভ্যালির অনেক উদ্যোক্তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
লিনা খান অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের মতো বড় কোম্পানির বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসা রোধে ব্যবস্থা নেন। এতে তিনি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের প্রশংসা পান। রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং সাবেক হোয়াইট হাউস কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননও তার পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
২০২৪ সালের মে মাসে টিকিটমাস্টার কোম্পানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার বিভাগ (ডিওজে)-এর মামলায় লিনা খানের ভূমিকা ব্যাপক সমর্থন পায়।
লিনা খান লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানি অভিবাসী দম্পতির ঘরে। তারা ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ড. শাহ রুখ আলীর স্ত্রী।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, জোহরান মামদানি ও তার টিম দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিতে এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হবে।
সূত্র: জিও নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



