জুমবাংলা ডেস্ক : ‘কার্টুন ও গেমসে আসক্ত’ হয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দগ্ধ হয়েছে গাজীপুর সদরের ছয় বছর বয়সের এক শিশু। সে বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ২৭ মার্চ দুপুরের দিকে শিশুটির নানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম রাফিয়া মোনতাহা (৬)। সে প্লে’র শিক্ষার্থী।
মা শিক্ষানবিশ আইনজীবী জিনাত জাহান জানান, রাফিয়া টিভিতে গেমস ও ওয়েব সিরিজ দেখতো। কথা কম বলতো। তার দুই মেয়ের মধ্যে সে ছিল বড়।
শিশুটির বাবা এস এম মাহমুদুল হাসান নোয়াখালী জেনেথ ফার্মার ফার্মাসিস্ট। তারা গাজীপুর সদর উপজেলার উত্তর ছায়াবীথি ২৮নং ওয়ার্ড বাসায় থাকতেন।
জিনাত জাহান জানান, রাফিয়ার বাবা তার কর্মস্থলে ছিলেন। তিনিও কম্পিউটার ক্লাস করতে বাইরে যান। ওই সময় ঘণ্টাখানিকের জন্য সন্তানদের বৃদ্ধ মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিলেন তিনি।
তিনি জানান, তার মা চুলাতে গরম পানি বসিয়েছিলেন। কখন যে রাফিয়া চুলার সামনে গিয়ে নিজের জামা চুলার সামনে ধরে, আর তাতে আগুন লেগে যায়। নিজে আবার সেই আগুন নেভানোরও চেষ্টা করে। পরে মা দ্রুত তার আগুন নিভিয়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে রাফিয়ার শরীরের বেশ কিছু অংশ দগ্ধ হয়ে যায়।
পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিয়াকে শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের ভর্তি করা হয়, যোগ করেন জিনাত জাহান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনিস্টিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, শিশুটির শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। শিশুটিকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ছোট্ট শিশুদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘কোমলমতি শিশুরা ছোট। তারা যা দেখে তাই শিখে। তাই অভিভাবকদের উদ্দেশে বলব, মোবাইল বা টিভিতে বিভিন্ন ধরনের কার্টুন ওয়েব সিরিজ দেখা থেকে বিরত রাখবেন। তাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় কোনো ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।