জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হুমাযুন কবির রাজনের বাসায় অবস্থান নেন দুই সন্তানের জননী খাইরুন নেছা পুষ্প।
পুষ্পের দাবি, রাজন তাকে বিয়ে করেছেন এবং তার পরামর্শে পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। তবে রাজন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুষ্পের চরিত্র ভালো নয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মাস্টার মহল্লায় রাজনের বাসায় অবস্থান নেন পুষ্প।
পুস্প ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের আবদুল খালেকের মেয়ে এবং ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে মো. আমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুষ্প জানায়, রাজন তার স্বামীর ফুফাতো বোনের জামাই এবং ২০২৩ সালে তাদের পরিচয় হয়। এরপর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের জানুয়ারিতে রাজন পুষ্পকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
পূর্বের স্বামী আমানকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুষ্প গত ফেব্রুয়ারিতে তালাক দেন এবং জুলাই মাসে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক রাজনের সঙ্গে বিয়ে করেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই আত্মগোপনে চলে যান রাজন। কিছুদিনের মধ্যেই গর্ভবতী হন পুষ্প। কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যার কারণে রাজন যোগাযোগ কমিয়ে দেন এবং পুষ্পকে অনাগত সন্তান নষ্টের পরামর্শ দেন।
রাজন এই বিষয়ে বলেন, ‘আমার স্ত্রী এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তার সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে পরিচয় হয় এবং মেয়েটার চরিত্র ভালো নয়।’
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।