জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি অবশ্য ব্রয়লার মুরগি কিছুটা কম দামে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। ডিমের দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
সরবরাহ সংকট না থাকলেও ঈদের পর থেকে বাড়ছে রসুনের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে রসুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশ কিছু সবজি কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সরবরাহ বাড়লেও মাছ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের দাম বাড়ায় মুরগির চাহিদা বেড়েছে। এতে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম।
ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।
গতকাল কারওয়ান বাজারের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মুরগির চাহিদা অনেক বেড়েছে। এতে বাজারও চড়ছে। এখন ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
সোনালি মুরগি মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।’
রসুনের দাম বেড়েছে :
সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও চীনা রসুন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। টিসিবির বাজারদরেও দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা বাজারের ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ কমার কারণে আমদানি ও দেশি দুই ধরনের রসুনের দাম বেড়েছে। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় এবং আমদানি করা বড় চীনা রসুন ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করছি।’
পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে আমদানি করা কিছুটা নিম্নমানের পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আদার দাম কিছুটা কমে আমদানি করা কেরালা জাতের আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ বন্ধ। খোলা চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।
চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ :
বাজারে সরবরাহ সংকট না থাকলেও এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। চাষের বড় সাইজের তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, মাঝারি ও ছোট সাইজের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বড় পাঙাশ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও ছোটগুলো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের ছোট রুই বা নলা মাছের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, এক কেজি রুই ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, দুই কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় কাতলা মাছ ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি মাছ কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
মিটারের এই ছোট্ট লাল বাতিটির জন্য প্রতি মাসে যত টাকা বিল আসে
বেশ কিছু সবজির দাম কমেছে :
সবজির সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজির দাম কমেছে। ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।