বিনোদন ডেস্ক : নব্বই দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী মনসুর হাসান। একসময় মুগ্ধতা ছড়াত তার কণ্ঠে। কিন্তু ভাগ্য কখন, কাকে, কোথায় নিয়ে দাঁড় করায়, তা কেউ বলতে পারে না। সময় পরিক্রমায় তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান মোড়ের গণশৌচাগারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে চাকরি করছেন। ব্যান্ড ‘ব্লু হরনেট’-এর শিল্পীকে চেনাই এখন দায়। মূলত মাদকাসক্ত হয়েই জীবনের এই কঠিন পরিণতির সম্মুখীন হন তিনি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মনসুর হাসানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরের শিরোনামে উঠে আসে তার নাম। এরপরই গানের ভুবন থেকে হারিয়ে যাওয়া এই গায়ককে খুঁজে বের করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। ফেসবুক লাইভে মনসুরের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এমনকি নিজ উদ্যোগে মনসুরকে গানে ফেরালেন এই কাউন্সিলর। শুধু তাই নয়, মনসুরের জন্য নতুন বাসার ব্যবস্থাও করছেন তিনি। যদিও মনসুর সেখানে থাকেননি।
শৈবাল দাশ সুমন বলেন, সবার দোয়ায় এখন অনেক ভালো আছেন মনসুর ভাই। তাকে নতুন বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অস্বস্তি বোধ করায় বর্তমান ঠিকানাতেই আছেন। স্থানীয় কয়েকটি গানের দলের সঙ্গে এখন নিয়মিত গান অনুশীলন করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মনসুর ভাইয়ের জন্য আমি নতুন একটি চাকরির ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। যেহেতু তিনি অনেকদিন মাদকাসক্ত ছিলেন, তাই তার শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়েছে কি-না সেটি দেখার জন্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
মনসুরকে গানে ফেরাতে নিজের প্রচেষ্টার কথা জানাতে এই কাউন্সিলর বলেন, তাকে আবার গানের ভুবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, গীতিকার আসিফ ইকবালসহ অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। কীভাবে তাকে আবার গানে আনা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের মহসীন কলেজে পড়ার সময় ছয় বন্ধু মিলে গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ডদল ‘ব্লু হরনেট’। সে সময়ের জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট ছিলেন মনসুর। ‘ব্লু হরনেট’-এর একমাত্র অ্যালবামের ১৪টি গানের মধ্যে তিনটি মনসুরের।
কিন্তু মনসুর হাসানের সেই মায়াবী কণ্ঠ হারিয়ে গিয়েছিলো অবহেলার মেঘে ঢাকা চাদরে। তার নেই ঘরবাড়ি, সংসার। ফুটপাতের ছোট্ট বেঞ্চই তার ঠিকানা। মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতনে গণশৌচাগার দেখভালের কাজ করছেন স্টেজে প্রায় পাঁচশো প্রোগ্রাম করা এই গায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।