জুমবাংলা ডেস্ক : মহাকাশ সম্পর্কে জানার প্রবল আগ্রহ থেকে টেলিস্কোপ বানিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় এসেছিলেন ভোলার নাজমুল আহসান জাহিদ। কোনো ল্যাব ছাড়াই নিজের বাড়িতে বসে তিনি পাঁচটি টেলিস্কোপ বানিয়েছিলেন। এবার নতুন করে আরও ১১টি নিউটোনিয়ান টেলিস্কোপ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জাহিদ। এ টেলিস্কোপ বানাতেও কারও সহযোগিতা নেননি তিনি। তবে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক টেলিস্কোপ তৈরি করতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জাহিদ।
ভোলা শহরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা নাজমুল আহসান জাহিদের মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহের শুরু ২০১৭ সালের দিকে। ফার্মাসিস্টের চাকরির ফাঁকে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরির চিন্তা শুরু করেন। এ জন্য তিনি ইউটিউব, অনলাইন ও বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন বই সংগ্রহ করে গবেষণা শুরু করেন। একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিজের বাড়ির একটি কক্ষে শুরু করেন টেলিস্কোপ তৈরির কাজ। তখন নির্মাণ করেন ৪টি টেলিস্কোপ।
অপটিক্স, আইপিস, ফাউন্ডারস্কোপ, মাউন্ড, ডফসোনিয়ান বডি মাউন্ড, অপটিক্যাল টিউব, মিরর, প্রাইমারি-সেকেন্ডারি মিরর সেলসহ নানা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংগ্রহ করে মাত্র তিন মাসে টেলিস্কোপ তৈরি করে সফলতা পান জাহিদ। একাধিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়। নাজমুল আহসান জাহিদ জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা
থেকে মহাকাশপ্রেমী মানুষ তার তৈরি টেলিস্কোপ কিনতে অর্ডার করেন। উৎসাহ পেয়ে আরও উন্নতমানের ও আধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপ তৈরি করার কথা ভাবছেন তিনি। টেলিস্কোপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। তবে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫-৩৮ হাজার টাকায়।
ছেলের এমন সফলতায় খুশি নাজমুলের বাবা মো. নুরন্নবী। তিনি বলেন, ছেলের অনেক আগ্রহ দেখছি, তার এমন সফলতায় আমি গর্বিত। সরকার যদি তাকে সহযোগিতা করে, তা হলে সে আরও এগিয়ে যাবে।
চাঁদের আকাশে ঝাপসা নীল বল পৃথিবী, ছবি তুলে পাঠাল নাসার ‘ওরিয়ন’
এদিকে নতুন এ টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহ-নক্ষত্র দেখতে নাজমুলের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে দেশে নাজমুলের মতো এমন উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।