ধর্ম ডেস্ক : আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো নামাজ। এটি আল্লাহর উপাসনার সর্বোত্কৃষ্ট পদ্ধতি। নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে সে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।
আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।
আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দিই।
আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
এ জন্য কোনো বিপদাপদে কিংবা যেকোনো প্রয়োজনে নফল নামাজ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় বেশি বেশি নামাজ পড়ার চেষ্টা করা।
গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজে মনোযোগ দেওয়া। মহানবী (সা.) দীর্ঘ (নফল) নামাজকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে হুবশি আল-খাসআমি (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.)-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা।…’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)
মহান আল্লাহ আমাদের দীর্ঘ নামাজের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।