জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘এটা একটা দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) পাশে আগুনে পোড়া মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এখানে কতগুলো গরিব মানুষের বাস ছিল। তাদের সহায় সম্বল নিয়ে এখানেই থাকত। তাদের বাড়ি-ঘর পুড়ে গেছে, এটা আসলেই একটা মর্মান্তিক দৃশ্য। এখন এই মানুষগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেটার জন্য আমাদের সরকার এবং আমরা চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আগুনের ঘটনায় দুটি মৃত্যুও হয়েছে। আমরা সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর জন্য সমবেদনা প্রকাশ করছি। এই দরিদ্র মানুষগুলো যাতে তাদের এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, এটা একটা দুর্ঘটনা। এখানে কেউ কিছু করেছে কি না (নাশকতা) সেটা তদন্ত হবে। যদি কেউ মনে করে এখানে কিছু ঘটানো হয়েছে, তাহলে তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সব পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
এখানে তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করত। তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কম্বল এবং কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত থাকার কোনো রকম একটা ব্যবস্থা হয়েছে; আমরা এটাকে আরও সুন্দর ব্যবস্থা করব।
অনেকে অভিযোগ তুলছেন আপনারা যে সহযোগিতা করছেন এটা ঠিকমতো তাদের কাছে যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের কমিশনার একটা তালিকা তৈরি করেছেন। আমাদের লোকাল নেতারা ও পুলিশ প্রশাসন এটা দেখাশোনা করছেন। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ঠিকমতো সাহায্য সহযোগিতা পায়, আমরা সেটা লক্ষ্য রাখবো।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট কাজ করে। এতে দুজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। আরও দুজন দগ্ধ হন এবং তারা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।