জুমবাংলা ডেস্ক : বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম। বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের একটু আগেই তিনি অফিসার্স ক্লাব থেকে পেট্রলিং ডিউটির কাজে ঘটনাস্থলের কাছে আসেন। এসেই মুখোমুখি হন সেই ভয়াবহ ঘটনার। সাদ্দাম জানিয়েছেন তার গত রাতের অভিজ্ঞতার কথা।
আগুন দেখার পরপরই সার্জেন্ট সাদ্দাম ওয়াকিটকি থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কল করেন। পরে সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অবগত করা হয়; কিন্তু যতক্ষণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ততক্ষণে আগুন ভবনটির অন্যান্য তলায়ও পৌঁছে যায় বলে জানান সাদ্দাম।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সাদ্দাম বলেন, ঘটনাস্থলের একটু দূরে এসে দাঁড়ান তিনি। এর দুই-এক মিনিটের মাথায় আগুন-আগুন বলে চিৎকার শুনতে পান।
সাদ্দাম বলেন, আমরা দেখতে পাই, আগুন লেগেছে ভবনটির নিচের অংশে। সেখানে কয়েকজন মিলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছিল না।
ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, একপর্যায়ে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ফুরিয়ে গেলে তারা কয়েকজন মিলে আশপাশের কয়েকটি ভবন থেকে চার-পাঁচটা ফায়ার এক্সটিংগুইশার জোগাড় করেন।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করলেও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। পরে একটা বিস্ফোরণ হলো, সিলিন্ডার জাতীয় একটা কিছু হবে। এরপর আগুন নিচ থেকে ওপরে উঠে গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।