লাইফস্টাইল ডেস্ক : পেটের চর্বি কমানোর সামান্য চেষ্টা করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন তারাও মাঝে মাঝেই ভাবেন, নতুন করে চেষ্টা-তদবির শুরু করতে হবে। অনেকে বহু দিন ধরে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। ইন্টারনেট ঘাঁটলে অবশ্য এক মাস বা এক সপ্তাহের মধ্যে পেটের চর্বি দূর করার অসংখ্য পরামর্শ মেলে।
আসরে এত কম সময়ের মধ্যেও কিন্তু সফলতা পেতে পারেন। তবে তার জন্যে দরকার সঠিক পদ্ধতিতে শতভাগ প্রচেষ্টা। এমনকি একদিনের মধ্যে পেটটাকে কিছু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞরা। হ্যাঁ, একদিনের প্রচেষ্টাতেই আপনি সন্তুষ্ট হতে পারবেন বলে জানান তারা। জেনে নিন সেই পদ্ধতি, আর চেষ্টা করে দেখুন কেমন ফল মেলে। আসলে একদিনের মধ্যে তো আর পেট নিয়ন্ত্রণে আসা দৃশ্যমান হবে না। কিন্তু আপনি এই অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারবেন যে, উপকার পেতে শুরু করেছেন।
সাদা চিনি বাদ দিন
মনে রাখবেন, প্রক্রিয়াজাত সাদা চিনি পেটের সবচেয়ে বড় শত্রু। পুরোপুরি চিনিমুক্ত থাকতে পারলে মনে রাখবেন এ যুদ্ধের অর্ধেকটা জয় করে ফেলেছেন। চিনির গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ অতি সাধারণ কার্বোহাইড্রেট। এটা অতিরিক্ত খাওয়া হলে গ্লাইকোজেনের রূপান্তরিত হয় এবং তা ফ্যাট হিসেবে জমা পড়তে থাকে টিস্যুতে। রিফাইন্ড সুগার পেটের চর্বির অন্যতম কারণ। তাই এই চিনির পরিবর্তে ফল এবং প্রাকৃতিক চিনি ধারণ করে এমন খাবার খেতে পারেন। একদিনের প্রচেষ্টায় এক চিমটি চিনিও খাবেন না।
খাবারে নিন প্রোটিন
পেটের মাপ বাড়তির দিকে গেলে তা রুখে দিতে খুবই কার্যকর প্রোটিন। তাই খাবারে আনতে হবে খাঁটি প্রোটিন। তা ছাড়া প্রোটিন দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা মিটিয়ে রাখতে পারে। ডিম, দই বা পনিরের মতো প্রোটিন খাওয়া শুরু করে দিন।
চা
এটা কেবল গ্রিন টি এর বিষয় নয়। হার্বাল চা খেতে হবে। পুদিনা পাতার চা, ওলং চা ইত্যাদি পান করুন। পেটের চর্বি কমাতে খুবই কার্যকর গাঁজনপ্রক্রিয়া ছাড়া উৎপাদিত হোয়াইট টি। এতে তাকে এক ধরনের প্রাকৃতিক ফেনোল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিপাকক্রিয়াকে সুষম ও দ্রুততর করে। একদিনেই উপকার পেতে শুরু করবেন।
ফাইবারপূর্ণ খাবার
ভক্ষণযোগ্য ফাইবার হজমপ্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু করে তোলে। ফাইবারপূর্ণ খাবারে শারীরিক ফিটনেস আসে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানকে সুষমভাবে শোষন করতে সহায়তা করে দেহকে। ফাইবারপূর্ণ খাবার খেলে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট হজম ধীরগতির হয় এবং তার অনেক পরে রক্তে প্রবেশ করে।
শারীরিক শ্রম দিন
এখানে ব্যায়ামের কথাই বলা হচ্ছে। পেট কমাতে এর চেয়ে ভালো জিনিস আর নেই। আসলে কর্মজীবনে বসে থাকার বিষয়টি পেট বাড়ানোর জন্যে দায়ী হয়। অলস বসে থাকলে ভুঁড়ি হবেই। একদিনের প্রচেষ্টায় যতটুকু পারেন ব্যায়াম করুন। ঘাম ঝরাতে হবে। একেবারেই না পারলে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটুন। এক্সলেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন।
উষ্ণ পানি পান করুন
এমনিতেই দেহের কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। দেহের বিষাক্ত উপাদান বের করতেও দরকার পানির। এসব দূষণসৃষ্টিকারী উপাদান বের হলে বিপাকক্রিয়াও সুষ্ঠু হবে। আর এ কাজটি দ্রুততর হলে পেটের চর্বি কমার কাজটিও দ্রুততর হবে। যদি হালকা উষ্ণ পানি পান করেন, তো গোটা প্রক্রিয়া আরো দ্রুতগতির হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।