জুমবাংলা ডেস্ক : এক যুবক ভালোবেসে একসঙ্গে দুই মহিলাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, পরিণতি হয় ভয়াবহ। এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন যুবক। কিন্তু বিয়ের পরেই বিচ্ছেদ হয়। বিয়ের এক মাসের মধ্যেই এক স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন ওই যুবক। মাস চারেক আগে এই বিয়ে এবং বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের গ্রামে।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী জেলার বাসিন্দা রোহিনী চন্দ্র বর্মণ একসঙ্গে বিয়ে করেছিলেন দুই প্রেমিকাকে। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে দুজনকেই ভালোবাসেন তাই এই বিয়ে করেছেন। এই সঙ্গে তাঁর দুজনকে বিয়ের কথা ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ওই বিয়ের কথা।
কিন্তু এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে নিয়ে সংসার করতে পারেননি বছর ২৫-এর যুবক রোহিনী চন্দ্র বর্মণ। তিনি একই সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন মমতা রানী এবং ইতি রানীকে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ট্রেনে ডিপ্লোমা করেছেন ওই যুবক।
গত ২০ এপ্রিল রাতে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষিদ্বরের রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি তাঁর বাড়িতে ইতি ও মমতাকে পাশাপাশি বসিয়ে ঘটা করে বিবাহ করেন। ওই তিনজনের পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে হয় । বিয়ের পর একসঙ্গে ২ প্রেমিকাকেই স্ত্রীর সম্মান দিয়ে ঘরে তোলেন ওই যুবক।
কিন্তু ২২ দিন পরই এক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। ছোট বউ মমতা রানী নিজেই রোহিনী চন্দ্র বর্মণকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু কী কারণে দুজনকে বিয়ে করার এক মাসের মধ্যেই একজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেন নি। রোহিণী চন্দ্রর বাবা যামিনী চন্দ্র জানান, তাঁর ছেলে যখন এক সঙ্গে দুজনকে বিয়ে করে সেই সময়ে কেউ কোন আপত্তি জানাননি।
সকলের সম্মতিতে ওই বিয়ে হয়েছিল। তিনি দাবি করেন , মমতা স্বেচ্ছায় তাঁর ছেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ করেছে। এতে তাঁরা অমত করেননি। কিন্তু কী কারণে ওই ডিভোর্স হয় তা নিয়েও কোন কথা বলেননি তিনি। দুই পরিবারের সম্মতিতে একটি এফিডেডিটে ওই ডিভোর্স হয়।
মাটির কলস দিয়ে টোপ বানিয়ে প্রচুর ক্যাট ফিস ধরল ৭০ বছরের বৃদ্ধ
জানা গিয়েছে, সেখানের বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়া পাড়া এলাকার ইতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ওই যুবকের। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। তাঁরা গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। এর মধ্যে ওই যুবক আবার নতুন করে প্রেমে পড়েন লক্ষীদ্বারের মমতার। মমতার সঙ্গে রাতে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই সময়ে তাঁকে আটকে রেখে মমতার সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ওই বিয়ের খবর শোনার পরেই সেখানে চলে যান ইতি। পরে কারোর আপত্তি না থাকায় দুজনকে একই ছাদনাতলায় বিয়ে করেন ওই যুবক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।