জুমবাংলা ডেস্ক : বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অসম্মতির কারণে এবারও আলোর মুখ দেখছে না একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উদ্যোগ নিলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত না পাওয়াকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বর্তমানে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিলেও ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন খসড়া চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও নানা কারণে তা চূড়ান্ত হয়নি। ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অসম্মতির কারণেই আলোর মুখ দেখছে না একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি।
অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় প্রায় ১১ লাখ শিক্ষার্থী। দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে আসন রয়েছে ১৩ লাখ। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা ৬০ হাজার, ফলে উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট না থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯৩ হাজার শিক্ষার্থীর সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে না।
সবাইকে প্রচলিত উচ্চ শিক্ষা নেয়ার পরিবর্তে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একক পরীক্ষা না হলেও বিভাগের মিল রয়েছে সমগোত্রীয় এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মিলে গুচ্ছভুক্ত হলে শিক্ষার্থীদের দুভোর্গ কমবে।
এছাড়াও ভর্তি প্রক্রিয়ায় হয়রানি রোধে দ্রুত ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একক পরীক্ষা পদ্ধতি প্রচলনের আগে কেন্দ্রীয়ভাবে একবার ফি গ্রহণ করে একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।