জাতীয় ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে রোজার মাস পবিত্র রমজান শুরু হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন দিনে রাখা হয় রোজাও। এ ছাড়া ঈদ পালনেও তারিখের তারতম্য হয়। এবার একই তারিখে রোজা শুরুর এবং ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট্র। ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সর্বোচ্চ ফিকহ একাডেমির সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী অভিন্ন হিজরি তারিখ বাংলাদেশেও বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সোমবার মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট্র আয়োজিত এক সেমিনারে এসব দাবি জানানো হয়।।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিজ্ঞানের উন্নতি হওয়ায় আকাশে চাঁদ দেখা গেলে সারা বিশ্বে খবর পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য একই সময়ে রোজা ও ঈদ পালনে ইসলামি শরিয়তে কোনো বাধা নেই। গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একদিন বা দুদিন পরে হিজরি মাস শুরু করছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশের মুসলিমরা সঠিক তারিখে ইবাদত পালনের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, রোজা ও ঈদ পালন ‘চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল’ কথাটা অনাবশ্যক এবং ত্রুটির সৃষ্টিকারী। পৃথিবীর দেশে দেশে চাঁদ দেখার কোনো প্রয়োজন নেই। সমগ্র বিশ্বের কোথাও না কোথাও চাঁদ দেখা গেলেই চন্দ্রমাস শুরু হয়ে যায়।
চাঁদ দেখার ব্যাপারে বক্তারা বলেন, ‘আমরা পবিত্র কুরআন শরীফের নির্দেশ পালনের সহায়ক হিসেবে ঘড়িকে গ্রহণ করেছি। একইভাবে চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে নবীজির (স.) নির্দেশের সহায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক হিজরি ক্যালেন্ডারকে অনুসরণ করতে পারি। উত্তম উপায় হাতের কাছে রেখেও যদি আমরা চাঁদ দেখার ত্রুটিপূর্ণ বা সীমাবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করি, তাহলে তা আমাদের জেদ অনৈক্য ও অজ্ঞতাকেই নির্দেশ করবে।’
মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্টের উপদেষ্টা বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শসশের আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার কাজী মুহাম্মাদ রেজাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান এবং সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আ ন ম রশীদ আহমাদ মাদানী প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।