আশরাফুল ইসলাম : ঢাকার ধামরাইয়ে সরকারি টিউবওয়েল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আব্দুল খালেক।
ভুক্তভোগীরা হলেন- উত্তর আনালিয়া খোলা গ্রামের আব্দুস সালাম ও চন্দিশ্বর গ্রামের মোঃ মনির হোসেন। এরা সকলেই একই ওয়ার্ডের বাসীন্দা।
জানা যায়,আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল খালেক তার নিজ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে সরকারি গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, খালেক মেম্বার তিন বছর আগে আমার কাছ থেকে টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে, এখন পর্যন্ত আমাকে টিউবওয়েলও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয় না। কিছু দিন আগেও আমি টাকার কথা বলেছি, কিন্তু সে কোন কর্ণপাত করে না।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, ছয় মাসের মধ্যে টিউবওয়েল দিবে বলে আমার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছে খালেক মেম্বার। টাকার কথা বললে মেম্বার বলে টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে, এখনও টিউবওয়েল আসে নাই। আমাকে ব্যাংকে জমার কোন রশিদও দেয় নাই।
এ বিষয় খালেক মেম্বার বলেন, আমি টাকা নিয়েছি কথাটা সত্য, কিন্তু টিউবওয়েলের জন্য টাকা আমি আতিক নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়েছি। সে টাকা ও টিউবওয়েল দেই দিচ্ছি বলে ঘোরাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি টিউবওয়েল কারো নামে পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন টাকা লাগেনা। পাস হওয়ার পর ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।