জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একটি সরকারি পুকুর থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল পুকুর থেকে মাছ লুটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে মামলায় তার নাম নেই। অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইউনুস বলেন, আমি খাস পুকুর দেখাশোনার দায়িত্বে আছি। গতকাল সকাল ৭টার দিকে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি, তিনটি খাস পুকুরে জাল ফেলছে কিছু লোক। এ সময় তাদের মাছ ধরতে কে বলেছে– জিজ্ঞেস করলে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ইউএনও অনুমতি দিয়েছেন।’ বিষয়টি আমি ইউএনওকে জানালে তিনি তাদের পরিচয় জানতে চান এবং কাউকে মাছ তুলতে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান। তারা প্রায় ২৫ কেজি মাছ লুট করেছে। পরে ৯৯৯-এ কল করলে কর্ণফুলী থানার এসআই বাশার গাজী এসে জালসহ সাতজনকে নিয়ে যান।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন বলেন, ‘একটি এক্সিডেন্টে এখানে আমার নাম চলে এসেছে। মাছ লুটের ঘটনায় আমি জড়িত না। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না।’
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামিম বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে মাছ লুটে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ওই নেতার বিরুদ্ধে দল থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটকের কথা অস্বীকার করেছেন এসআই বাশার। এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মনির হোসেনও কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, মাছ লুটের ঘটনায় রাতে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার এ কে এম সাজ্জাদ শাহ আমজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।