আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অতি গোপনীয় নথি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যেখানে তার স্মৃতিশক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে নিজেকে স্বাভাবিক দাবি করে তদন্তের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাইডেন। খবর বিবিসি’র।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি ঠিক আছে।’
বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তোলা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে যে, তিনি তার ছেলে কবে মারা গেছে তা মনে করতে পারছিলেন না। এর উত্তরে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, “তিনি কীভাবে এই প্রশ্ন তোলার সাহস পান?”
স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট হার অতি গোপনীয় নথি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু তার তদন্ত প্রতিবেদনে বেশকিছু কঠোর সমালোচনা রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্টের স্মৃতিশক্তিতে “উল্লেখজনক সীমাবদ্ধতা” রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নথিগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভিযোগ আনাটা মুশকিল। কারণ, “বিচারের সময় বাইডেন বিচারকের সামনে নিজেকে একজন সহানুভূতিশীল, সদালাপী এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবেন, আমাদের সামনেও তিনি যেটি করেছেন।”
এর প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেছেন, বয়স সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনিই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।
গত বছর স্পেশাল কাউন্সেলের কাছে সাক্ষাৎকারের বিষয়ে তিনি বলেন, “সেদিন আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আমি তখন একটি আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে কাজ করছিলাম।”
সাক্ষাৎকারের একদিন আগে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
এ বছরের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বাইডেনের বয়স ভোটারদের কাছে একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে বললে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকো এবং মিশরের প্রেসিডেন্টের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন।
“আমি মনে করি আপনারা এরইমধ্যে জানেন যে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট সিসি মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য দ্বার খুলতে চান না। আমি তার সাথে কথা বলেছি। আমি তাকে মানিয়েছি”, বলেন বাইডেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।