লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করায় ইসরোর বিজ্ঞানীরা ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছেন। একইভাবে দেশের মানুষও গর্বিত হয়েছে। এরপর চাঁদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অনেকটাই বেড়েছে। তবে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা খুব কম মানুষই জানেন।
৬০-৭০ দশকে চাঁদে পা রাখা মহাকাশচারীদের ছবি আমরা সকলেই দেখেছি। দেখা গিয়েছিল, চন্দ্রপৃষ্ঠে লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটছেন মহাকাশচারীরা। আসলে চাঁদের ভর পৃথিবীর তুলনায় কম আর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও কম। ফলে সেখানে মহাকাশচারীদের ওজন পৃথিবীর তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছিল।
গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দিনভর মহাকাশ রহস্যের সন্ধান করে চলেছেন। মানুষ আজ চাঁদে পৌঁছতে সফল হয়েছে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে প্রথম পা রাখেন মহাকাশচারীরা। চাঁদের পৃষ্ঠে পা রাখার পরে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন অনুভূত হয় শুধুমাত্র দেহের ওজনে।
বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদে আমাদের দেহের ওজন পৃথিবীতে আমাদের দেহের ওজনের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ কম মনে হয়। উদাহরণ দিয়ে বলা যাক বিষয়টা। ধরা যাক, পৃথিবীতে আমাদের দেহের ওজন ৬০ কেজি। তাহলে চাঁদে সেই ওজন হবে তার ছয় ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ মাত্র ১০ কেজি।
পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে ওজনের পার্থক্য বার করার সূত্র হল: পৃথিবীতে একজন মানুষের ওজন × ১৬.৫ ÷ ১০০ = চাঁদে একজন মানুষের ওজন
এখন ধরা যাক, পৃথিবীতে কারওর ওজন ৬০ কেজি। তাহলে চাঁদে সেই ব্যক্তির ওজন কত হবে? সূত্র অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির ওজন হবে , ৬০ কেজি × ১৬.৫ ÷ ১০০ = ৯.৯ কেজি। যার অর্থ হল, একজন ৬০ কেজি মানুষের ওজন চাঁদে ১০ কেজিরও কম হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে মানব দেহের ওজন কমে যায় কেন? আসলে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মান পৃথিবীর মানের থেকে ছয় গুণ কম। এই কারণে চাঁদে একজন মানুষের ওজন পৃথিবীর মোট ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ হয়ে যায়। তবে চাঁদে পৌঁছনোর পরে ভর পৃথিবীর সমান থাকবে, কিন্তু দেহের ওজন কম অনুভূত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।