লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যকার সম্পর্ক একদিকে যেমন মধুর, তেমনি সন্দেহের ছায়ায় এটি দ্রুত তিক্ত হয়ে উঠতে পারে। সন্দেহের জন্ম হলে সম্পর্কের মাধুর্য নষ্ট হয়ে যায়। আজকাল অনেকেই তাদের সঙ্গীর ফোন চেক করা শুরু করেন, যা সম্পর্কের ভাঙনের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের অভ্যাসের পিছনে থাকে সঙ্গীর প্রতি নিরাপত্তাহীনতা, অতীতের খারাপ অভিজ্ঞতা, কিংবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের অভাব।
ফোন চেক করা কি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর: মনোবিজ্ঞানী গুরলিন বড়ুয়া বলেন, ‘যদি সঙ্গী অনুমতি দিলেও ফোন চেক করা সম্পর্কের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এটি বিশ্বাসের দুর্বলতা এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন তৈরি করে।’ প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত স্থান এবং গোপনীয়তা থাকা উচিত, যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবিশ্বাসের চক্র: ফোন চেক করার অভ্যাস শুরু হলে সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহের চক্র সৃষ্টি হয়। এটি কেবলমাত্র সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বাস বাড়ায়, বরং উভয়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতাও বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে এটি অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি)-এর মতো আবেশ তৈরি করতে পারে, যা মানসিক চাপ এবং সম্পর্কের খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্পর্কের স্থিতিশীলতা পুনঃস্থাপন: গোপনীয়তার চেয়ে স্পষ্ট এবং খোলামেলা কথোপকথন অনেক বেশি কার্যকর। বড়ুয়া বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির পরিবর্তে সঙ্গীর সঙ্গে নিজের নিরাপত্তাহীনতা এবং সন্দেহ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত।’ একটি সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং মনের জোর তৈরি করা জরুরি। সন্দেহের কারণে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই কয়েকটি ধাপে আবার বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
খোলামেলা কথা বলুন: যদি সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তাহলে তা সরাসরি আলোচনা করা উচিত। কথা বলার সময় গোপনীয়তা এবং স্বচ্ছতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
আস্থা বজায় রাখুন: উভয়েরই সততা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত কাজ করা উচিত। বিশ্বাস বৃদ্ধি পায় যখন অংশীদাররা একে অপরের কাজ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিরাপদ এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করে। তাই সবসময় ভুল বোঝাবুঝি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন।
ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করুন: ক্রমাগত একে অপরের অনুসন্ধান করার পরিবর্তে আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করুন। ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করা জন্য ভালো এবং আপনার সম্পর্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।