হকিং যে জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছেন, তিনি কিন্তু সেসব তত্ত্বের আদি জনক নন। তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতাও প্রণয়ন করেননি, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের জনকও নন। এমনকি নতুন কোনো ধরনের কৃষ্ণগহ্বরও (Black hole) তিনি আবিষ্কার করেননি। তারপরও তিনি সাধারণ মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত সুপরিচিত নাম, হয়তোবা তাঁর হুইলচেয়ারে বসে থাকা, তাঁর চাহনিই তাঁকে মানুষের কাছে আরও কৌতূহোলদ্দীপক করেছে। যা-ই হোক, হকিংয়ের এই শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে চিন্তার বাইরে রেখেই তাঁর কাজগুলোর ওপর দৃষ্টিপাত করব। হকিংয়ের কাজগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখব, তিনি কখনো তাঁর বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারাকে একটা বাক্সের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেননি। অর্থাত্, নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক ধারণাকে তিনি আলিঙ্গন করে নিয়েছেন। এটা অনেক বিজ্ঞানীই একটা নির্দিষ্ট সময়ের…
Author: Yousuf Parvez
বছরের বেশির ভাগ সময় গড়পড়তা হিসেবে বায়ু দূষণের শীর্ষে থাকে ঢাকা। এমন পরিবেশে থেকে আমরাও কেমন যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দূষণমুক্ত বাতাস অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য শিল্পায়ন ও নগরায়ণের এ যুগে দূষণমুক্ত বাতাস পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বাতাসের দূষণ মাপার বিভিন্ন উপায় আছে। কিন্তু কোনো যন্ত্রপাতি ছাড়া কি বোঝা সম্ভব, আশপাশের বাতাস কতটা দূষিত? সম্ভব হলে, কীভাবে বুঝবেন? ঘ্রাণ রাসায়নিক উৎস থেকে আসা নিরবচ্ছিন্ন গন্ধ দূষিত বায়ুর আরেকটি চিহ্ন। এই গন্ধ যে সব সময় পচা গন্ধ হবে, তা নয়। এ ক্ষেত্রে ধোঁকা খেতে পারে আমাদের অলফ্যাক্টরি সেন্সর (গন্ধের পেছনের স্নায়ু)। কারণ, সুঘ্রাণ মানেই বিশুদ্ধ বাতাস নয়। যেমন…
বেশ কিছু অ্যাপ স্মার্টফোনে নামালেই গোপনে ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ আদান-প্রদান করা বার্তা এবং ফোন কলের তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়মিত পাঠাতে থাকে। স্টকারওয়্যার নামে পরিচিত এসব অ্যাপের কারণে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি সাইবার হামলারও ঝুঁকি থাকে। আর তাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তায় নিজেদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ‘হু ইজ স্পাইয়িং অন মি’ নামের নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে অ্যান্টিভাইরাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি। ক্যাসপারস্কির তথ্যমতে, নতুন এই সুবিধায় একটি স্টকারওয়্যার স্ক্যানার রয়েছে, যা গোপনে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা অ্যাপ শনাক্ত করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম সন্দেহজনক যন্ত্রও খুঁজে বের করে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করবে। এ ছাড়া…
মহাকাশ গবেষণা সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল। এই ঝুঁকি নিয়েও অনেক দেশ বছরের পর মহাকাশ মিশন পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও ভারত এর মধ্যে অন্যতম। মহাকাশের অজানাকে জানতে কয়েক বছরের পরিকল্পনা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এরকম অনেক মিশনই সফল হয়েছে। তবে ব্যর্থও হয়েছে কিছু। হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সেসব মিশনে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি সিএসএ ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ইসা। এই টেলিস্কোপ মহাকাশের গভীরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মহাবিশ্বের প্রথম আলোর খোঁজ করছে এটি। ইতিমধ্যেই এ টেলিস্কোপ মহাকাশ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান…
জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলে দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্যাঁচ উন্মুক্তের আগে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও ফায়ারফক্স ব্রাউজারে থাকা এমনই দুটি জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি কাজ লাগিয়ে সাইবার হামলা চালানোর প্রমাণ পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ইসেট। ইসেটের তথ্যমতে, এরই মধ্যে ত্রুটিগুলোর সমাধান করেছে মাইক্রোসফট ও ফায়ারফক্স কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সমাধানের আগেই ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দূর থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে রোমকম নামের একদল সাইবার অপরাধী। রোমকম সাইবার অপরাধী…
কোনো কারণে প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। যে কারণেই হোক, সম্পর্কে ইতি টানতে হয়েছে। আপনার কাছে পড়ে আছে বিভ্রান্তি, এলোমেলো অগোছালো কিছু মুহূর্ত আর একগুচ্ছ স্মৃতি। হয়তো একে অপরকে চেয়েছিলেন, কিন্তু জীবন সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তো আপনারা দুজনেই বদলে গেছেন অথবা জীবন বদলে গেছে। এই বদলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। অতএব এমন কেউ, যিনি আপনার জন্য নয়, তাঁকে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে চলে যেতে দিন জীবন থেকে। সবচেয়ে কাছের মানুষটি এখন আর আপনার কেউ না। কিন্তু দিন শেষে যা আপনি হারিয়েছেন বলে মনে করতেন, তার চেয়ে অর্জন করেছেন অনেক…
জীবনে নানা সময় নানা মানুষ আমাদের ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই থাকেন, যাঁরা মানুষকে নিচ ও ছোট অনুভব করাতে তৎপর। তাঁরাই টক্সিক মানুষ। নিজের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ন রাখতে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গী, বন্ধু বা ঘনিষ্ঠজন না বানানোই উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার জীবনে টক্সিক কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব রয়েছে কি না— স্বার্থপরতা তাঁদের মধ্যে প্রবল। তাই জীবনে টক্সিক কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকা মানেই জীবন দুর্বিষহ। তাঁদের থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরত্বের রেখা টেনে নেওয়াই ভালো। তাঁরা শুনতে চান না টক্সিক ব্যক্তিরা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পছন্দ করেন না। খেয়াল করলে দেখবেন, এই ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত যেকোনো কথোপকথনের…
সম্প্রতি ১১৯ ও ১২০তম মৌল আবিষ্কারে আরও একধাপ এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগে তাঁরা প্লুটোনিয়াম-২৪৪ আইসোটোপে চার্জিত টাইটেনিয়াম পরমাণু দিয়ে আঘাত করেন। এতে তৈরি হয় পর্যায় সারণির অন্যতম ভারী মৌল লিভারমোরিয়াম। এর পারমাণবিক সংখ্যা ১১৬। আর এতেই দুটি নতুন মৌল খুঁজে পাওয়ার আশা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। পর্যায় সারণিতে এই মৌল দুটির জায়গা হবে ১১৯ ও ১২০ নম্বর ঘরে। গত ২১ অক্টোবর এ গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার জার্নালে। যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স বার্কলি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একদল বিজ্ঞানী গবেষণাটি করেছেন। বর্তমানে পর্যায় সারণিতে মৌলের সংখ্যা ১১৮। সবার শুরুতে আছে হাইড্রোজেন। এর পারমাণবিক সংখ্যা ১। অর্থাৎ এতে প্রোটন আছে একটি। আর এখন পর্যন্ত পর্যায় সারণির…
সূর্য একটি প্রকাণ্ড অগ্নিময় গোলক, যাকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবী। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার, তবু চোখ-ধাঁধানো উজ্জল একটা চাকতির মতো লাগে। আর ২/১ মিনিট তাকালে চোখ অন্ধকার দেখতে হয়। শুধু সকালে বা সন্ধ্যের দিকে যখন দিকচক্রবালের কাছে থাকে সূর্য, তখন দেখাটা নিরাপদ। সে সময় ঘন বায়ুস্তর ভেদ করে আসে বলে সূর্যরশ্মির জৌলুষ কিছুটা কমে। পৃথিবী আরও দূরে সরে এলে সূর্যের বাহ্যিক চেহারা কেমন হবে? আরও ছোট দেখাবে নিশ্চয়ই। যদি আরও কয়েক হাজার কোটি কিলোমিটার দূর থেকে তাকাই, তাহলে দেখাবে ক্ষুদ্র উজ্জল একটা বৃত্তের মতো। যতক্ষণই তাকাই না কেন, আমাদের চোখে ধাঁধা লাগবে না। সূর্য থেকে দূরে,…
শিশুদের কাছে ডাইনোসর বেশ প্রিয়। সিনেমার কারণে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও ডাইনোসর নিয়ে জানার আগ্রহ আছে। প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী ডাইনোসর পৃথিবীতে আবার ফিরে এলে কী হবে, তা দেখানো হয়েছে ‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমায়। ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত প্রাণীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে না পারলেও থেমে নেই বিজ্ঞানীরা। সত্যিকারের ডাইনোসরের আদলে রোবট তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। এই রোবটের মাধ্যমে ডাইনোসরের বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সায়েন্স রোবটিকসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা রোবটিকস প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাইনোসরসহ বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রাণী তৈরির পরিকল্পনা করছেন। বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর গতি ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য অনুকরণ করে তৈরি রোবটগুলো এসব প্রাণীর বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দিতে কাজ…
হিমেল ঠান্ডা বাতাস আর ভোরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা জনপদ জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে সুপ্ত ভাইরাসগুলো যেমন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তেমনি শুষ্কতা আর ধুলাবালির কারণে অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষ এ সময় সর্দি–কাশি, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন। নাক বন্ধ হওয়া একটি বিরক্তিকর সমস্যা। আসুন জেনে নিই, নাক বন্ধ হলে আমরা কী করব। আমরা সবাই জানি, নাকের ভেতরে সিলিয়া নামের ছোট ছোট চুলের মতো থাকে, যা বাইরের ধুলাবালি ও জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। কখনো কখনো ভাইরাস বা এ ধরনের জীবাণু বা ধুলাবালি নাকের ভেতর একধরনের ক্ষত তৈরি করে। আবার আমাদের ইমিউন সিস্টেম…
পেঁয়াজপাতা পেঁয়াজের কলি হিসেবে সমধিক পরিচিত। শীতের সবজির মধ্যে পেঁয়াজপাতা বেশ জনপ্রিয়। খেতেও এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। একে স্প্রিং অনিয়ন বা সবুজ পেঁয়াজও বলা হয়। পেঁয়াজপাতায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে মজবুত করা, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখা এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। পেঁয়াজপাতার আরও কিছু গুণ রয়েছে। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পেঁয়াজপাতায় থাকা সালফার যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে, যা শরীরে গ্লুকোজের শোষণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় পেঁয়াজপাতা হজম প্রক্রিয়াকে…
মহাকাশভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের বাণিজ্যিক বিমান তৈরি করবে নাসা। আধুনিক প্রযুক্তি ও টেকসই প্রকৌশলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিমান তৈরির জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ ডলারের তহবিল গঠন করে গবেষণাও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। নাসার তথ্যমতে, পরিবেশদূষণ ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম টেকসই বাণিজ্যিক বিমান তৈরির এ গবেষণা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি শেষ হবে। এরপর বিমান নির্মাণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় দ্রুত বাণিজ্যিক বিমান তৈরি করা হবে। ‘এএসিইএস ২০৫০’ নামের এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি ভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এসব গবেষণা করছেন। নাসার অ্যারোনটিকস রিসার্চ মিশন বিভাগের সহযোগী প্রশাসক বব পিয়ার্স জানিয়েছেন, নাসা পরিচালিত…
পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। আগামী কয়েক বছরে মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ার জন্য ১ বা ২ হাজার নয়, ১০ লাখ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যেতে চান তিনি। তবে মানুষ কি আদৌ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশ নিয়ে একটি বই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী কেলি ওয়েইনারস্মিথ ও তাঁর স্বামী কার্টুনিস্ট জ্যাক ওয়েইনারস্মিথ। ‘আ সিটি অন মার্স’ নামের বইটি এ বছর যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি ত্রিবেদী সায়েন্স বুক পুরস্কার পেয়েছে। সেই…
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের বেশ কিছু সুবিধা ব্যবহার করা যায় না আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা আইফোনে। আবার আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা আইফোনের বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করা যায় না অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে। তাই মাঝেমধ্যেই একে অপরের তৈরি বিভিন্ন সুবিধার আদলে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেমে নতুন সুবিধা যুক্ত করে গুগল ও অ্যাপল। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের আদলে ডিফল্ট অ্যাপ পরিবর্তনের সুবিধা আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে যুক্ত করতে যাচ্ছে অ্যাপল। অ্যাপলের তথ্যমতে, আইওএস ১৮.২ সংস্করণে ডিফল্ট অ্যাপ পরিবর্তনের সুবিধা যুক্ত করা হবে। ফলে আইফোন ব্যবহারকারীরা প্রথমবারের মতো ডিফল্ট অ্যাপ পরিবর্তন করতে পারবেন। ডিসেম্বরে উন্মুক্ত হতে যাওয়া এই সংস্করণে অ্যাপলের তৈরি…
সূর্যের চারপাশে নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ করে থাকে পৃথিবী। তবে সম্প্রতি পৃথিবী স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কাত হয়ে ঘুরছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পৃথিবী ৩১.৫ ইঞ্চি কাত হয়ে পড়েছে। পৃথিবী কাত হয়ে যাওয়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেতে পারে। গবেষণাটি জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর কাত হয়ে হেলে পড়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির স্বাভাবিক উপস্থিতি ও অবস্থান বদলে গেছে। যে কারণে পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি বা প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার কাত হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের…
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ও সবচেয়ে খাটো নারী লন্ডনে বিকেলের চা পানের মধ্যমে উদযাপন করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস। তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার রুমেইসা গেলগির উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি (২১৫.১৬ সেমি)। অন্যদিকে ভারতীয় জ্যোতি আমগে ২ফুট ০.৭ ইঞ্চি (৬২.৮ সেমি)। ৫ফুট উচ্চতার পার্থক্যের এই দুজন নারী সেদিন দেখা করেছিলেন স্যাভয় হোটেলে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (জিডব্লিউআর) বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তাঁরা আনন্দমুখর আয়োজনে একসঙ্গে বসে চা পান করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। গেলগি বলেন, আমাদের উচ্চতার পার্থক্যের জন্য মাঝেমধ্যে দৃষ্টি বিনিময় করতে কষ্ট হচ্ছিল। এ ছাড়া পুরো অভিজ্ঞতা ছিল চমৎকার। তিনি আরও বলেন, আমাদের দুজনের বেশ কিছু মিল আছে।…
বর্তমানে আমাদের দেশে দূষণের মাত্রা সব পর্যায়েই অত্যন্ত তীব্র। ত্বককে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে হলে এই ৪টি পদ্ধতি মেনে চলা যেতে পারে। ঢাকার আকাশে টাকা উড়ুক আর না উড়ুক, নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড, কার্বন মনো–অক্সাইড, ফ্রি র্যাডিক্যাল উড়বেই। ত্বকের বারোটা বাজানোর জন্য এসব উপাদানই যথেষ্ট। তবে এদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক বাঁচিয়ে রাখা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। এবার ত্বক দূষণমুক্ত রাখার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক— সানস্ক্রিন কিছু দূষণকারী আছে, যারা তাদের ক্ষতিকর প্রভাব প্রয়োগের আগে ইউভি রশ্মি দ্বারা সক্রিয় হয়। তাই প্রতিদিন, এমনকি বর্ষার সময়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হলো জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম অক্সাইডযুক্ত…
সম্প্রতি স্মার্টফোনে স্টারলিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বর্তমানে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানোর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে তারহীন ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পাশাপাশি ফোন কল, টেক্সট মেসেজিং ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। ইতিমধ্যে এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ২৫ অক্টোবর, সোমবার কক্ষপথে নতুন আরও ১২টি ‘ডিরেক্ট টু সেল’ নামে বিশেষ স্যাটেলাইট পাঠায় স্পেসএক্স। ফলে কক্ষপথে এমন স্যাটেলাইটের মোট সংখ্যা এখন ৩২০টি। স্টারলিংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সরাসরি ফোন কলের সুবিধা দিতে তারা প্রস্তুত। এ জন্যই গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।…
বর্তমান সময়ে কেউ আর অমরত্বে বিশ্বাস করে না। যখন করোনা এল, তখন আমরা কেউ বুঝতে পারছিলাম না যে ওটা কী। এরপর হঠাৎ দেখলাম, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়াতে ছড়াতে বাংলাদেশে চলে এল। কয়েক দিনের মধ্যে সব বন্ধ হতে শুরু করল। কোটি কোটি মানুষ মারা গেল। আমাদের কী আক্রমণ করছে, তা বুঝতেই অনেক দিন লেগে গেল। ফলে মহামারি কোন দিক থেকে যে আসবে, তা আমরা জানি না। তাই অমরত্বের বিষয়টি আমি বিশ্বাস করি না। তবে হয়তো আর্টিফিশিয়াল হার্ট (কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড) বা এমন কৃত্রিম অঙ্গের সাহায্যে একজন মানুষকে খুব সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখা যাবে। বাড়ানো যাবে মানুষের আয়ু। অমরত্ব পর্যন্ত এখনো ভাবতে…
উপমা গুহ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টার (ইউএনএমসি) কলেজ অব ডেন্টিস্ট্রির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষকতা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণা ও শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ইউএনএমসি কলেজ অব ডেন্টিস্ট্রির ক্লিনিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপমা গুহ ডেন্টাল ম্যাটেরিয়াল, ডিজিটাল ডেন্টিস্ট্রি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন ডেন্টিস্ট্রি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ডেন্টাল ডিগ্রি নিয়েছেন বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে। মাস্টার্স করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার চ্যাপেল হিল অ্যাডামস স্কুল অব ডেন্টিস্ট্রি থেকে। তিনি বলেন, অনেক দেশ আছে, সেসব দেশের মানুষ দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্ম বোঝেন। বলা হয়, দাঁতের ব্যথা বিশ্বের দ্বিতীয় যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা। প্রথমটা মায়েদের সন্তান প্রসবের ব্যথা।…
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বছরে কমপক্ষে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নত দেশগুলো। এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এটিকে। দুই সপ্তাহ আলোচনার পর কপ-২৯-এ প্রতিনিধি দলগুলো এই বার্ষিক অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে একমত হয়েছে। আজারবাইজানের বাকু শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সামগ্রিক লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে অন্তত ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন করা হবে। এ সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল ২২ নভেম্বর। কিন্তু জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে বাদানুবাদের কারণে সম্মেলন শেষ হতে সময় লেগেছে অতিরিক্ত ৩৩ ঘণ্টা। সে কারণে গত সম্মেলেন শেষ হয় গত ২৪ নভেম্বর।…
পর্যায় সারণিতে বর্তমানে ১১৮টি মৌল আছে। এগুলোর মধ্যে ৯২টি পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। বাকি ২৬টি মৌল তৈরি করতে হয় ল্যাবে। এই ৯২টি মৌলের মধ্যে পৃথিবীতে কোন মৌলটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়? আমরা বেঁচে থাকার জন্য যে খাবার খাই কিংবা মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা যা করি, তার সবকিছুতে আছে এসব মৌলের গুরুত্ব। কিন্তু কোন মৌলটা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আরও একটা প্রশ্ন করতে হবে। সবচেয়ে বেশি কি পৃথিবীর ভূত্বকে, নাকি বায়ুমণ্ডলে। দুটির উত্তর আলাদা। সে জন্য এ লেখায় ভূত্বকের ও বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ ৫টি করে মৌল নিয়ে আলোচনা করা যাক। শুরুতেই দেখি পৃথিবীর ভূত্বকে…
বছরে একবার পৃথিবী ঘুরে আসে সূর্যের চারপাশে। কথাটা উল্টোভাবেও বলা যায়। পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসলে এক বছর হয়। এর অর্থ, আমরা ইতিমধ্যেই প্রচণ্ড বেগে ঘুরছি সূর্যকে কেন্দ্র করে। তারপরও চলুন, পৃথিবীর বার্ষিক গতি আরও বাড়িয়ে দেওয়া যাক। তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে আসুন কল্পনা করার চেষ্টা করি, পৃথিবী আলোর বেগে ছুটলে কী হতো। পৃথিবীর মতো স্থির ভরের বস্তু কি আদৌ চলতে পারত আলোর বেগে? কিংবা আলোর বেগের কাছাকাছি গেলে কি বদলে যেত পৃথিবীর ভর? আর পৃথিবীর বাসিন্দা, অর্থাৎ আমাদের অবস্থাই-বা কেমন হতো উচ্চবেগে ছুটে চলা সেই পৃথিবীতে? আমাদের মহাবিশ্বের কোনো কিছুই আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলতে পারে না। শূন্য…
























