Author: Yousuf Parvez

Dedicated desk news writer with a sharp eye for breaking stories and a passion for delivering accurate, timely, and engaging content. Skilled in news research, fact-checking, and writing under tight deadlines, with a strong commitment to journalistic integrity and clarity.

চলতি বছর এপ্রিলের শেষে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরীক্ষামূলক নভোযান, অ্যাডভান্সড কম্পোজিট সোলার সেল সিস্টেম (এসিএস ৩)। নভোযানটি বিশেষত্ব হলো তেল, গ্যাস বা তেজক্রিয় জ্বালানি নেই এতে। সরাসরি সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত হবে এ নভোযান। অর্থাৎ পৃথিবীতে আমরা যেমন সূর্যের আলো বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করে ব্যবহার করি, এখানে তেমন ঘটনা ঘটবে না। আলোর কণা ফোটনের ভরবেগ ব্যবহার করে মূলত এ নভোযানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অনেকটা পালতোলা নৌকা বাতাসকে যেভাবে কাজে লাগায়, সেরকম। এজন্য এ প্রযুক্তি নাম, ‘সোলার সেইলিং’ বা সৌরপাল প্রযুক্তি। উৎক্ষেপণের প্রায় চারমাস পর সম্প্রতি নভোযানটির বুম ও পাল খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নভোযানটি…

Read More

কের জন্য উপকারী বিভিন্ন উপাদানের এক সঠিক সংমিশ্রণ হচ্ছে সিরাম। ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যা দ্রুত প্রশমিত করতে সিরাম যথেষ্ট কার্যকর। ফেস সিরাম এখন রূপচর্চার জনপ্রিয় উপাদান। ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে ফেস সিরাম নির্বাচন করে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত এর কার্যকারিতা দেখতে পাওয়া যায়। কোলাজেন বাড়ায় কোলাজেন এমন একটি প্রোটিন, যা ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায়। গ্লাইকলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৩ ও জিংকযুক্ত ফেস সিরাম আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে এবং সূক্ষ্ম রেখা বা ফাইন লাইনস কমাতে সাহায্য করে। এ-জাতীয় সিরামের অনেক সুবিধার মধ্যে একটি হলো, এটি প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করে। অ্যালোভেরা, শিয়া বাটার ও…

Read More

একবার ব্যবহারোপযোগী প্লাস্টিক পণ্যকে বলা হয় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের গ্লাস, কাপ, চামচ, প্লেট, বাটি, বোতল, পলিব্যাগ ইত্যাদি সর্বত্রই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী ও পদার্থকে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ হিসেবে নির্ধারণ করে এগুলোর বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। প্লাস্টিক দূষণমুক্ত থেকে পরিবেশের জন্য এটা একাধারে প্রশংসনীয় ও অনুসরণীয়।    সরকারি অফিসের পাশাপাশি নিজেদের যাপনেও এই পরিবর্তন আনার এখনই উপযুক্ত সময়। সরকারি অফিসের পাশাপাশি বাসাবাড়ি, বেসরকারি অফিস, হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ সর্বত্র এই চর্চা শুরু করা যেতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্লাস্টিকমুক্ত জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলার এখনই সময়।…

Read More

ফর্মুলা ১ রেসিং কার দেখেছেন নিশ্চয়ই। রেসিংয়ের জন্য গাড়িগুলো বিখ্যাত। চিতাকে এই রেসিং কারের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম স্তন্যপায়ী প্রাণী এটি। ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে। কিন্তু কেন চিতা এত দ্রুতগামী? এমন কী বৈশিষ্ট্য আছে এর, যে কারণে এতটা দ্রুত দৌড়াতে পারে? চিতার শারীরিক গঠনের কারণেই এরা এত দ্রুত ছুটতে পারে। দ্রুত দৌড়ানোর পেছনে এদের ওজনও বড় ভূমিকা রাখে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতার গড় ওজন ৪১-৪৫ কেজি। আর নারী চিতার ওজন ৩৬-৩৭ কেজি। এর পাশাপাশি চিতার দ্রুত দৌড়ানোর আরও ৫টি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো: ১. লম্বা লেজ চিতার লেজের দৈর্ঘ্য ৬০-৯০ সেন্টিমিটার। এদের পেশীবহুল লেজটি…

Read More

যে অসাধারণ আবিষ্কারে অবদান রেখেছেন পৃথিবীর হাজারখানেক বিজ্ঞানী! কেন এত বিজ্ঞানী, কেনই বা এত সময়? মূল কথা হলো, একটি অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজন অসাধারণ সব প্রমাণ। প্রথমত, ১৯৫৭ সাল অবধি মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বাস্তবতা নিয়ে বিতর্ক ছিল। প্রয়োজন ছিল অনেক বিশ্লেষণাত্মক এবং সংখ্যাসূচক গবেষণার। বিভিন্ন উত্স থেকে আসা মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য কী তা জানার। দ্বিতীয়ত, কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে সৃষ্ট মহাকর্ষীয় তরঙ্গ যখন পৃথিবীতে পৌঁছায়, তখন তাদের আকার অত্যন্ত ছোট হয়ে যায়। এত দুর্বল এই তরঙ্গ শনাক্ত করা অনেক কঠিন কাজ। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৫ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর যে তরঙ্গটি পৃথিবীতে এসেছে, তার আকার একটি প্রোটনের ব্যাসের চেয়ে প্রায় ১০০০ গুণ ছোট ছিল।…

Read More

নভোচারীরা থাকা অবস্থায় যদি স্যুট ছিঁড়ে যায়, ভেঙে পড়ে ‘লাইফ সাপোর্ট’ ব্যবস্থা, বেরিয়ে যায় বাতাস, তাহলে কী হবে? কিংবা মঙ্গলের সবটা জুড়ে থাকা ধুলা ও ক্ষতিকর কণা যদি ঢুকে পড়ে এই সুযোগে? শুধু স্যুট নয়, নষ্ট হতে পারে অস্থায়ী আবাস হিসেবে গড়ে তোলা ঘরগুলোও। পানি স্বল্পতার ফলে এগুলো যে চাইলেই ধুয়ে ঠিকঠাক করে নেওয়া যাবে, তাও নয়। ইলন মাস্ক অবশ্য বলছেন, মঙ্গলে যেহেতু বরফ পাওয়া গেছে, যথেষ্ট শক্তি থাকলে এর মাধ্যমে পানি তৈরি করা সম্ভব। সে জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে সৌরশক্তি কিংবা জিওথার্মাল (ভূত্বাপীয়) শক্তি। তবে সে জন্য যথেষ্ট সময় লাগবে। হয়তো হবে কোনোদিন, তবে তার আগে প্রথম নভোচারী…

Read More

প্রায় ১১ হাজার বছর আগে তুরস্কের মেলেন্দিজ নদীর তীরে ছিল একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানেই পাওয়া গেছে ইতিহাসের প্রাচীনতম কিছু গবাদিপশুর অবশেষ—বলা ভালো, হাড়গোড়। যেখানে হাড়গোড় পাওয়া গেছে, জায়গাটা আশুকলা হয়ুক (Aşıklı Höyük) নামে পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা দেখলেন, এ অঞ্চলে কালের আবর্তে হরিণ, ছাগল ইত্যাদি প্রাণীর হাড় কমে গেছে বহুলাংশে। ১১ হাজার বছর থেকে এগিয়ে সাড়ে ৯ হাজার বছর অতীতে এসে দেখা যাচ্ছে, ৯০ শতাংশ অবশেষই ভেড়ার। এর মধ্যে ৫৮ শতাংশ স্ত্রী ভেড়ার। বোঝাই যাচ্ছে, স্ত্রী ভেড়াদের এই প্রাবল্যের পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম প্রজনন ঘটানো, অর্থাৎ ভেড়ার খামার করা। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা দেখেছেন, এসব অবশেষ পাওয়া গেছে সেই গ্রামের মাঝখানে। তাই তাঁরা ধারণা…

Read More

আংটি করবে শরীর-স্বাস্থ্যের হিসাব-নিকাশ! হৃৎস্পন্দন থেকে তাপমাত্রা মাপতে স্যামসাং-এর ‘স্মার্ট রিং’ পছন্দ জেন জ়েড-এর। তবে তাকে কি টেক্কা দেবে অরা রিং ৪! স্মার্ট ওয়াচ কি তবে অতীত! জেন জ়েডের নতুন পছন্দ ‘স্মার্ট রিং’। হৃৎস্পন্দন থেকে অক্সিজেনের মাত্রা, ক্যালোরি ক্ষয় হচ্ছে কত, নিঁখুত ভাবে হিসাব-নিকাশ করে ফেলে আংটি। সম্প্রতি বাজারে এসেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি রিং। আংটির প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চুলচেরা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিযোগী হিসাবে উঠে এল আরও একটি নাম। স্যামসাং-এর ‘স্মার্ট রিং’ এর সঙ্গে টক্কর দিতে প্রস্তত হচ্ছে অরা রিং-এর চতুর্থ জেনারেশন। সূত্রের খবর, চতুর্থ জেনারেশন অরা রিংয়ের তৃতীয় জেনারেশনের চেয়ে শুধু উন্নতই হবে না, দেখনদারিতেও…

Read More

আমাবস্যার রাত, গভীর অন্ধকার। আপনি বসে আছেন একটা নির্জন মরুভূমিতে। হঠাৎ শুরু হলো মেঘের শক্তিশালী গর্জন। কী, ভয় পাবেন? হয়তো খুব একটা না? যদি দুটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষ হয়? যদি সূর্য তার সব শক্তিকে ১ সেকেন্ডের মধ্যে নিঃসরণ করে দেয়? সেটা অবশ্যই ভয়ের কিছু হতে পারে, যদি আপনি কৃষ্ণগহ্বরের অথবা সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করেন। আপনি হয়তো নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইবেন। আর শুনতে চাইবেন সেই মহাজাগতিক সংগীত। সেই সঙ্গে আপনার থাকবে মহাকাশ নিয়ে যত সব প্রশ্ন। কিছুটা এমনই ঘটেছিল প্রায় ১৩০ কোটি বছর আগে। আমাদের সূর্যের ৩৬ গুণ এবং ২৯ গুণ ভরের দুটি ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষে…

Read More

মৌলিক সংখ্যা সম্পর্কে কম-বেশি সবাই জানেন। কোনো সংখ্যাকে ১ এবং ওই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা না গেলে, তাকে মৌলিক সংখ্যা বলে। যেমন ৫, ৭, ১১ ইত্যাদি। মৌলিক সংখ্যার বেশ কিছু ধরন আছে। যেমন যমজ মৌলিক বা টুইন প্রাইম। এ ধরনের মৌলিক সংখ্যাগুলোর মধ্যে ২-এর ব্যবধান থাকে। যেমন ১১ ও ১৩। এরকম একধরনের মৌলিক সংখ্যার নাম মার্সেন প্রাইম বা মার্সেন মৌলিক সংখ্যা। আজকের আলোচনা এই মার্সেন প্রাইম নিয়ে। ২-এর মৌলিক ঘাত বা প্রাইম পাওয়ার, এমন কোনো সংখ্যা থেকে ১ বিয়োগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাই মার্সেন প্রাইম। সংজ্ঞাটা বোধ হয় একটু কঠিন হয়ে গেল। এটাকে গাণিতিকভাবে…

Read More

‘এলইডি’ টেলিভিশন, মনিটর, এমনকি ‘এলইডি’ আলো হলেও চলত! কিন্তু চিরুনিতে হঠাৎ ‘এলইডি’ আসবে কোথা থেকে? তেমন চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে আদৌ কোনও লাভ হয়? চুলের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে পারে বিশেষ এই চিরুনিটি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে এবং ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে এই ‘এলইডি’ বা ‘লাইট এমিটিং ডায়োড’ আলো বেশ পারদর্শী। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল ঝরে পড়া বা মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যার নানা রকম চিকিৎসা রয়েছে। তার মধ্যে এই ‘এলইডি’ আলোযুক্ত চিরুনিও একটি। তবে শুধু চিরুনি নয়, ফাঁকা মাথায় চুল গজাতে তার সঙ্গে আরও কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। চুলে ‘এলইডি’ চিরুনিটি কী ভাবে কাজ করে? বিশেষ…

Read More

প্ল্যানচেট বা প্রেতসিদ্ধের রোমাঞ্চ কাহিনি নয়, একেবারেই তথ্যপ্রযুক্তি শাসিত বাস্তব জগৎ। সেখানেই দাবি করা হচ্ছে, কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে পরলোকের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগের বন্দোবস্ত পাকা। ইচ্ছা হলেই মুঠোফোনে অ্যাপ মারফত যোগাযোগ করা যাবে ‘তেনাদের’ সঙ্গে। আর ‘তেনারা’ও দিব্যি কথাবার্তা চালিয়ে যাবেন ইহজগতের বাসিন্দাদের সঙ্গে। সম্প্রতি এমনই এক খবর ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। মৃত প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করার উদ্দেশ্যে কীই না করেছে মানুষ! স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ থেকে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পরলোকগত প্রিয়জনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্ল্যানচেটে বসতেন। বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনও চেষ্টা করছিলেন এমন এক যন্ত্র আবিষ্কারের, যার মাধ্যমে প্রেতলোকের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথোপকথন সম্ভব হবে। তার বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ‘অকাল্ট’ বিশ্বাসীরা…

Read More

মঙ্গলে মহাকর্ষ পৃথিবীর মাত্র ৩৮ শতাংশ। এর মানে, অনেকে ভাবেন, ওজন কমে যাবে। লাফ দিলে অনেক দূর ওঠা যাবে! বাহ, ভারী মজা। আসলে বিষয়টা অমন সুখকর নাও হতে পারে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দেখা গেছে, প্রায় জিরো গ্র্যাভিটিতে ক্ষয়ে যেতে পারে হাড় ও পেশী। এই সমস্যা এড়াতে নিয়মিত প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করেন নভোচারীরা। তাতে পেশীর সমস্যা এড়ানো যায় অনেকটা, তবে হাড়ের ক্যালসিয়ামের ক্ষয় রোধ করা যায় না। পৃথিবীতে ফেরার আগে সেরেও ওঠেন না তাঁরা। মঙ্গলের মহাকর্ষ কেমন আচরণ করবে, তা এখনও সত্যিকার অর্থে আমরা জানি না। তবে জিরো গ্র্যাভিটির মতো আচরণ করলে হাড় দুর্বল হয়ে যাবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে…

Read More

বর্তমানে ডায়াবেটিস হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলোর একটি। এটি এমন একটি রোগ, যেখানে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। যদিও এ রোগের কোনো স্থায়ী নিরাময় নেই, কিন্তু স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনলে তা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি সচেতন না হই এবং এ রোগকে উপেক্ষা করি, তাহলে আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং ভাবছেন কী ধরনের খাবার খেতে হবে, এ তালিকা তাঁদের কাজে আসবে। বেশ কিছু সহজলভ্য সুপারফুড রয়েছে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। বিনস–জাতীয় খাবার যেকোনো ধরনের শিম, মটর,…

Read More

এর আগে দেখা গেছে কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিককে বাংলাদেশের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’–এ। দেখা গেছে এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘ওমর’ সিনেমায়ও। এমনিতে ওপার বাংলার নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিনি। আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর ২০২৩ সালে। বেশি দিন নয়, ২০১৮ সালে অভিনয় জগতে পা রেখেছেন দর্শনা। আর বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছেন তিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এ বছর কোরবানির ঈদে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহানের বিপরীতে তাঁকে দেখা গেছে ‘ইতিবৃত্ত’ টেলিফিল্মে, যেখানে তাঁকে দর্শকরা খুব পছন্দ করেছেন। দর্শনা এমনিতেই অত্যন্ত সুন্দরী যাকে বলে। মিষ্টি হাসি আর সুন্দর মুখশ্রীর সঙ্গে তাঁর আকর্ষণীয় ফিগারেরও তারিফ করতে…

Read More

জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ বার্ধক্য। এর সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক সুগভীর। বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। ত্বক অমসৃণ হয়। নানা দাগছোপ পড়ে। অথচ আমরা এসব সমস্যা সমাধানে, বিশেষত ত্বকের সজীব রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, অনেক চেষ্টাই তো করলাম, কিন্তু কিছুই তো হলো না। কত বিদেশি ক্রিম, টনিক ব্যবহার করা হলো, তাতেও কিছু হলো না। এটা ঠিকই। তবে আমাদের প্রকৃতিতে রয়েছে বেশুমার উপাদান, যা দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। কোনো কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজনই পড়বে না।নিজের শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে পারলে তারুণ্যের আভা বজায় রাখা যাবে। অলিভ অয়েল, লেবুর রস আর মধু…

Read More

মহাকাশজুড়ে মহাজাগতিক বিকিরণ ছড়িয়ে আছে। মঙ্গলে যেতে চাইলে পথে এই তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মুখে তো পড়তেই হবে। পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র না হয় পৃথিবীর ভেতরে আমাদের রক্ষা করে এসব বিকিরণ থেকে, আসা-যাওয়ার পথে তো আর ওরকম কোনো ঢাল নেই। তবে এটা আসলে অত বড় সমস্যা নয়। নাসার কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলে যাওয়ার পথে হিসেব কষে দেখেছে, একবার যেতে বাড়তি কেবল ০.৩ সিভার্ট বিকিরণের মুখে পড়তে হবে। এটা ক্ষতিকর অবশ্যই—যেকোনো নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের বার্ষিক তেজস্ক্রিয়তা সীমার ১৫ গুণ। তবে প্রাণঘাতী নয়। ১ সিভার্ট তেজস্ক্রিয়তা ক্যানসারের ঝুঁকি ৫.৫ গুণ বাড়িয়ে দেয়। ৮ সিভার্ট তেজস্ক্রিয়তায় মৃত্যু হয় মানুষের। আর নিরাপত্তা স্যুটসহ অন্যান্য ব্যবস্থা তো থাকবেই এই…

Read More

আইনস্টাইনের সঙ্গে প্রখ্যাত জার্মান গণিতবিদ ডেভিড হিলবার্টের দেখা হওয়ার পর অনেক কিছু বদলে যায়। সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের চিন্তাটা তাঁর মাথায় ঢুকল কীভাবে? এখানেই আইনস্টাইনের কৃতিত্ব। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, মহাকর্ষ বলের বিষয়ে নিউটনই শেষ কথা বলে গেছেন। কিন্তু আইনস্টাইন বললেন সেখানে আরও কিছু বিষয় রয়ে গেছে। তিনি শুরু করেন নিউটনের মহাকর্ষ বল থেকে। তাঁর চিন্তাভাবনা ও গবেষণার শুরু ১৯০৭ সালে। এর আড়াই শ বছর আগে নিউটন যেখানে শেষ করেন, আইনস্টাইনের শুরু  সেখান থেকে। নিউটন এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এর মূল কারণ মহাকর্ষ বল। এই আকর্ষণ বলের জন্যই পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারপাশে, চাঁদ ঘুরছে পৃথিবীর চারপাশে,…

Read More

নিউটনের সূত্রের সঙ্গে আইনস্টাইনের তত্ত্বের গড়মিল দেখা গেলে এটা নিয়ে যত কাহিনি হয় তা অনেকেই জানে না। নিউটন অবশ্য ব্যাখ্যা করতে পারেননি কীভাবে মহাকর্ষ বল এত দূর থেকে একে অপরকে আকর্ষণ করে। এবং এই ব্যর্থতার বিষয়টি তিনি তাঁর একটি লেখার ফুটনোটে উল্লেখও করে গেছেন। প্রায় দুই শ বছর পর্যন্ত ফুটনোটের কথা সবার অজানাই ছিল। আইনস্টাইনই প্রথম বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। আইনস্টাইন এই সিদ্ধান্তে আসেন যে মহাকর্ষ বল নিশ্চয়ই মহাশূন্যের দ্বারাই প্রযুক্ত হয়। কিন্তু কীভাবে, সেটাই প্রশ্ন। ১৯১৫ সালে তিনি এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক সূত্র উপস্থাপন করেন। তাঁর চমত্কার ব্যাখ্যাটি হলো এ রকম: মহাশূন্যে সূর্য ও পৃথিবীর মতো বস্তুগুলোর…

Read More

আমরা জানি, গাছ বা লতাপাতা সূর্যের আলো পেলে সবুজ হয় কিন্তু মিষ্টি পান সরাসরি সূর্যের আলোয় হলুদ বর্ণ ধারণ করে, এর কারণ কী? মিষ্টি পান, ঝাল পান বা যেকোনো উদ্ভিদের পাতা সাধারণত সবুজ থাকে।  যদি হলুদ হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে পর্যাপ্ত আলো পাচ্ছে না অথবা তার পানির অভাব হয়েছে বা গোড়ায় বেশি পানি জমে গেছে কিংবা সার-পুষ্টির অভাব হয়েছে। এগুলো ঠিক থাকলে মিষ্টি পানের পাতা হলুদ হওয়ার কারণ নেই। অবশ্য যদি কড়া রোদের আলো পড়ে, আর পানি না পায়, তাহলে কিছুটা হলুদ হয়ে যেতে পারে। শ্রীমঙ্গলে খাসিয়ারা এক ধরনের পান চাষ করে, যাকে বলে খাসী পান। স্বাদের দিক থেকে…

Read More

আমরা খুব লজ্জা পেলে মাথা নিচু করে ফেলি। বলি ‘লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে’। লজ্জাবতী গাছের পাতায় সামান্য স্পর্শ করলে তার পাতাগুলোও গুটিয়ে যায়। মনে হয় যেন লজ্জা পেয়েছে। আসলে এখানে লজ্জার কোনো ব্যাপার নেই। বাইরের কোনো বস্তুর স্পর্শ লাগলে লজ্জাবতী গাছ বিপদের আশঙ্কায় আত্মরক্ষার জন্য তার পাতাগুলো গুটিয়ে ফেলে। এর একটা বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে। লজ্জাবতী গাছ আসলে শক্ত কাণ্ডের কোনো গাছ নয়, এটা একধরনের উদ্ভিদ। খুব নরম ডাঁটি, কোমল পাতা। দেখলেই মায়া হয়। একে কোনোভাবে আঘাত করতে মন চায় না। এদের পাতা ও কাণ্ড খুব স্পর্শকাতর। অন্ধকারে এদের পাতা গুটিয়ে থাকে, দিনের আলোয় সতেজ হয়ে পুরোপুরি খুলে যায়। কিন্তু…

Read More

মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী কীভাবে বিভিন্ন গন্ধকে আলাদা করে? বিয়েবাড়িতে ধুমধাম আয়োজন চলছে। বাতাসে গন্ধ ভেসে আসছে। আমরা চট করে বলে দিতে পারি কাচ্চি বিরিয়ানি না মোরগ-পোলাও রান্না হচ্ছে। আবার গোলাপ ফুলের গন্ধ না রজনীগন্ধার, তা চোখ বন্ধ করে শুধু গন্ধ নিয়েই বলে দিতে পারি। এটা আমাদের একটা বড় গুণ। কিন্তু এই যে বিভিন্ন গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারা, সেটা কীভাবে সম্ভব হয়? এ নিয়ে নিউরোলজিস্ট ও ফিজিওলজিস্টদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে একটা বিষয় ঠিক যে আমাদের নাকের ভেতর যেসব স্নায়ুর মাধ্যমে আমরা গন্ধ অনুভব করি, তার মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গন্ধের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার গুণ। ধারণা করা হয়,…

Read More

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ প্রবল। অন্য যেকোনো গ্রহের তুলনায় বেশি। এর একটা কারণ হতে পারে, ভবিষ্যতে মানুষের মঙ্গলে বসতি স্থাপনের সম্ভাবনা। মঙ্গলে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ নভোচারী থেকে শুরু করে বড় বড় অনেক ব্যবসায়ী। তাই এ গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ আকাশচুম্বী হওয়াই স্বাভাবিক। সেই আগ্রহ থেকেই আজ জানার চেষ্টা করব, মঙ্গল গ্রহ আসলে কত বড়। মঙ্গল গ্রহের ব্যাস প্রায় ৬ হাজার ৭৭৯ কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্যাস আসলে কতটুকু? পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করা যাক। পৃথিবীর ব্যাস ১২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার। সে হিসেবে মঙ্গল গ্রহকে প্রায় পৃথিবীর অর্ধেক বলা চলে। আসলে পৃথিবীর ৫৩ শতাংশ। মঙ্গলের ভর ৬.৪২…

Read More

সাধারণ আপেক্ষিকতা আবিষ্কার করেন কে? মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন। সবাই জানি। কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কারের শেষ দিকের কয়েক বছরের ঘটনা সম্পর্কে আমরা কতজন জানি? ১৯১২ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ছিল রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ। একসময় মনে হচ্ছিল, আইনস্টাইনের তত্ত্ব আবিষ্কারের কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে যেতে পারেন অন্য একজন। জোরালো সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, সাধারণ আপেক্ষিকতা আবিষ্কারের কৃতিত্ব পেয়ে যেতে পারেন অন্য একজন গণিতবিদ। কিন্তু তা হয়নি। প্রখ্যাত জার্মান গণিতবিদ ডেভিড হিলবার্ট স্বীকার করেন, সমীকরণ চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তিনি হয়তো প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সাধারণ আপেক্ষিকতা বা জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির ক্রেডিট পাবেন আইনস্টাইনই। অবশ্য হিলবার্টও তাঁর প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হননি। শুধু প্রায়োগিক…

Read More