পৃথিবীর দ্রুততম প্রাণীদের কাছে গতি মানে বেঁচে থাকা। প্রাণীদের মধ্যে তো আর অলিম্পিক নেই যে দৌড় প্রতিযোগিতা হবে! ফলে প্রাণীদের দ্রুত দৌড়ানো মানে হয় শিকার করা, নয়তো জীবন বাঁচানো। আগেই বলেছি, প্রাণীদের গতির কোনো অলিম্পিক নেই। তাই এদের গতি পর্যবেক্ষণ করতে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে মানুষ। সব সময় গতি একরকম পরিমাপ করা যায় না, কম-বেশি হয়। তা ছাড়া স্থলে যেমন প্রাণীদের জীবন বাঁচাতে বা শিকার করতে হয়, একই কাজ করতে হয় পানি বা আকাশেও। তাই এখানে জল, স্থল ও আকাশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ৩টি করে প্রাণীকে নিয়ে আলোচনা করব। উটপাখি উটপাখি ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। এটি পৃথিবীর…
Author: Yousuf Parvez
সব জ্যোতিষ্কই বিশাল বিশাল গোলক। এ কারণে সূর্যকে সব সময় গোল দেখায়। অথচ চাঁদ কেন যেন কেবল কখন-সখন গোল, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই ফালি। চাঁদের বাকি অংশ তাহলে যায় কোথায়? কে তাকে গ্রাস করে? চাঁদ কিন্তু একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন গোল পাথর। সূর্য হলো বাতি। এই বাতি চাঁদের একটা দিক আলোকিত করে। আর নীল আকাশের ভেতর দিয়ে দেখা যায় কেবল চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বল সূর্য আর সূর্যালোকে উজ্জল আলোকিত চন্দ্রকলা। অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশ চোখে পড়ে না। ঘোলাটে বায়ু তাকে দেখার পথে বাধা সৃষ্টি করে। সেই বায়ুমণ্ডল ভেদ করে তারাও দেখা যায় না, যদিও দিনের বেলায় সব তারাই তাদের যার যার জায়গায় থাকে। রাতের বেলায়…
খাদ্য বা বাসস্থানের জন্য জীবজন্তুদের মধ্যে চলে শত্রু-শত্রু খেলা। বাঁচার প্রয়োজনে বড়রা ছোট বা দুর্বলদের শিকার করে। যেমন ছোট্ট প্রজাপতিকে খায় তার শত্রু ব্যাঙ। আর ব্যাঙকে সাপ, সাপকে খায় বাজ পাখি বা অন্য কেউ। এভাবে খাদ্যশৃঙ্খল অনুযায়ী এক প্রজাতি আরেক প্রজাতির শিকারে পরিণত হয়। ভারসাম্য আসে খাদ্যশৃঙ্খলে। টিকে থাকে জীবজগৎ। এ ক্ষেত্রে দুর্বল প্রাণী পরাজিত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবক্ষেত্রে কথাটা সত্যি নয়। দুর্বল প্রাণীরা গায়ের জোরে শক্তিশালী শিকারি প্রাণীর সঙ্গে পারে না বটে। কিন্তু তারা অন্যভাবে, বলা যায় ‘বুদ্ধির জোরে’, শক্তিশালী প্রাণীকে ফাঁকি দিতে বা পরাজিত করতে চেষ্টা করে। এমন এক পদ্ধতিই হলো ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ। ক্যামোফ্লেজ পদ্ধতিতে প্রাণীরা…
গ্রিক উপকথার স্বপ্নদেবতা মরফিউস। ঘুমের গভীরে মানুষকে স্বপ্ন দেখান তিনি। মরফিউসের বাহুতে নিদ্রারত মানুষ উপভোগ করে গভীর ঘুমের সুখ। দেবতাদের কাছ থেকে মানুষের কাছে প্রতিচ্ছবি ও গল্পের মাধ্যমে স্বপ্নবার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব মরফিউসের। মানুষের স্বপ্নে যেকোনো আকৃতিতেই ধরা দিতে পারেন মরফিউস। স্বপ্নে যেকোনো মানুষের অনুকরণেই উপস্থিত হতে পারেন তিনি, ধারণ করতে পারেন যেকোনো রূপ। তিনি স্বপ্নের প্রভু হিসেবে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিতে প্রতিচ্ছবি পাঠাতে পারেন। অন্তর্দৃষ্টিকে দিতে পারেন আকার, স্বপ্নে দেখা সৃষ্টিকে দিতে পারেন আকৃতি। গ্রিক শব্দ ‘মরফি’ অর্থ আকৃতি। যেহেতু তিনি স্বপ্নে যেকোনো আকৃতিতে ধরা দিতে পারেন, তাই তাঁর নাম হয়েছে মরফিউস। মরফিউস কিন্তু মানুষকে দুঃস্বপ্ন বা অলীক স্বপ্ন দেখাতেন না।…
কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ইন্টারনেট আসক্তি, বিষণ্নতা এবং পর্নোগ্রাফি আসক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যার বর্তমান প্রভাব বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. আবু বকর সিদ্দিকের তত্ত্বাবধানে বিখ্যাত উইলি পাবলিশারের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল হেলথ সায়েন্স রিপোর্টের আগস্ট সংখ্যায় এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় মোট আট হাজার ৮৩২ জন কিশোর-কিশোরী অংশ নেয়। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট আসক্তিতে, ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বিষণ্নতায় এবং ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী…
এক মিনিটেরও কম সময়ে ব্যথা-বেদনাবিহীন অনায়াস মৃত্যু। কফিন আকৃতির ওই যন্ত্রে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যু ডেকে আনা হয়। যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সারকো’। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এগজিট ইন্টারন্যাশনাল’ এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। ‘ডক্টর ডেথ’ হিসেবেও পরিচিত সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ নিটশে রয়েছেন এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের নেপথ্যে। সংস্থার দাবি— বাইরে থেকে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ভেতর থেকেও তা চালু করা যাবে। অর্থাৎ মৃত্যুর প্রত্যাশায় যে ব্যক্তি ওই যন্ত্রের ভেতর ঢুকবেন, তিনি নিজেও যন্ত্রটি চালাতে পারবেন। এখানেই রয়েছে মূল সমস্যা। ‘এগজিট ইন্টারন্যাশনাল’-এর দাবি, ওই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শুধু চোখের পাতার নড়াচাড়া আঁচ করেই…
বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। তাৎক্ষণিক বার্তা, ছবি আদান-প্রদানের পাশাপাশি অডিও-ভিডিও কলের সুযোগ থাকায় অনেকেই নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ভালো করতে একের পর এক নতুন ফিচার নিয়ে আসে অ্যাপটি। এবার অ্যাপটি নতুন আরেক ফিচার নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েট অথরিটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার আসছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো একটি টেক্টস বাবল তৈরি করতে পারবে। যা চ্যাটে ওয়ালপেপার ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরিই এই ফিচার অ্যান্ড্রয়েট ও আইওএস ভার্সনে যুক্ত করা হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার ওয়েবিটাইনফো জানিয়েছে, নতুন এই ফিচারের ফলে ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট চ্যাট বাবল আর ওয়ালপেপারের জন্য নতুন রং…
এই সময়টায় দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করলেও ক্ষতি নেই। তবে ল্যাপটপ মুঠোফোনের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করলে গতি নেই। ঘরের কাজে, বাইরের কাজে প্রয়োজনে-আয়োজনে এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে মোবাইল-ল্যাপটপ না হলে চলেই না। তবে মানুষে-প্রযুক্তিতে এই বন্ধুত্বের মাঝে অদৃশ্য শত্রু হলো এক প্রকার নীল আলো। সোজা কথায় মোবাইল-ল্যাপটপ থেকে নির্গত ব্লু লাইটের কথা বলছি। নানাবিধ ক্ষতি করলেও ব্যবহারকারীর চোখের দিকেই যেন বেশি আক্রোশ ব্লু লাইটের। এর প্রভাবে মোবাইল-ল্যাপটপে বসে থাকাদের চোখে ছানি পড়া, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, পাওয়ার বাড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে দিনের দীর্ঘ সময় মোবাইল, ল্যাপটপে বসে থাকা বিভিন্ন বয়সীদের এসব জটিলতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি। ব্যবহারকারীদের ওপর নীল আলোর…
মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী পাঠকেরা ইতিমধ্যেই ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ (বা ১০১৬) ডলারের একটা গ্রহাণুর নাম শুনে থাকবেন। গ্রহাণুটি মূল্যবান ধাতুতে মোড়ানো। ধারণা করা হচ্ছে, এর মূল্য হতে পারে ১০ কুইন্টিলিয়ন ডলার (ওপরে যে বড় সংখ্যাটা দেখেছেন, সেটা)। ভাবা যায়! এমন গ্রহাণু পৃথিবীতে নিয়ে আসতে পারলে গোটা পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে। এই সম্পদ পৃথিবীর সবার মধ্যে ভাগ করে দিলে মোটামুটি সবাই হয়ে যাবেন কোটিপতি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ইতিমধ্যে গ্রহাণুটির উদ্দেশে একটি নভোযান পাঠিয়েছে। তাহলে নাসা তথা যুক্তরাষ্ট্র কি ওই সম্পদের মালিক হতে চায়? ওরকম গ্রহাণু পৃথিবীতে নিয়ে আসার চিন্তাটা আসলে কষ্টকল্পনা। কোনো গ্রহাণু কোনোদিন পৃথিবীতে নিয়ে আসা যাবে কি না, সে…
মার্ক জাকারবার্গ এবং ইলন মাস্কের মতো টেক জায়ান্টরা হলেন ‘সবচেয়ে বড় একনায়ক’, মনে করেন মারিয়া রেসা যিনি মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন। আমেরিকান-ফিলিপিনা সাংবাদিক ফিলিপাইনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের প্রশাসনের সময় দায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর লড়েছেন। তবে মারিয়া রেসা মনে করেন, দুতের্তে মার্ক জাকারবার্গ বা ইলন মাস্কের তুলনায় অনেক ছোট স্বৈরশাসক। পাউইসে হেই সাহিত্য উৎসবে বক্তৃতা করতে গিয়ে রেসা বলেন, ‘জাকারবার্গ এবং মাস্ক প্রমাণ করেছেন যে, সংস্কৃতি, ভাষা বা ভূগোল নির্বিশেষে, আমাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে অনেক বেশি মিল রয়েছে কারণ আমাদের সকলকে একইভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আমাদের অনুভূতি পরিবর্তন…
অত্যাধুনিক সাইবার হামলার কৌশল উদ্ভবের সাথে সাথে সাইবার-থ্রেটও বাড়ছে। এর ফলে জনসাধারণের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। ক্যাসপারস্কি ইনসিডেন্ট রেসপন্স অ্যানালিস্ট রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে, মাইক্রোসফট-এর উপর আসা ৭৫% সাইবার-অ্যাটাকে ব্যবহৃত হয়েছে সাধারন কিছু ইনফেকশন ভেক্টর। এই হামলাকারীরা প্রায়শই রিমোট ডেস্কটপ প্রোটোকল (আরডিপি) অ্যাটাক করতে, ফিশিং ইমেইল ও ডকুমেন্ট টেম্পলেট হিসেবে নথিপত্রের নকল তৈরি করতে চুরি করা আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। যদিও, ২০২২-এর তুলনায়, ২০২৩-এর প্রথম প্রান্তিকে এধরণের আক্রমণের সংখ্যা ৩৬% কমে গেলেও র্যানসমওয়্যার ও সাইবার-স্যাবোটাজের ভয়াবহতা থেকেই যায়। ক্যাসপারস্কির গ্লোবার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস টিম-এর পরিচালক ইগর কুজনেটসভ বলেন, “হামলাকারীদের সবচেয়ে বড় টার্গেট ছিলো সরকারি প্রতিষ্ঠান, এরপরেই তারা টার্গেট করেছে…
অনেকে জিমে গিয়ে প্রথমেই ট্রেডমিলে উঠে হাঁটতে শুরু করে দেন। সবার ধারণা ট্রেডমিলে দৌড়ালে ওজন কমে, যা ভুল ধারণা। এর চেয়ে বরং বাইরে হাঁটলে ওজন কমবে। ট্রেডমিলে গতানুগতিক গতি, ছন্দ আর নির্দিষ্ট ছকের বাইরে হাঁটা যায় না। পথে থাকে বৈচিত্র্য। এ ছাড়া পথ সব সময় এ রকম নয়। ফলে পায়ের পেশি এ ক্ষেত্রে কাজ করে বেশি। তাই ক্যালরিও বেশি ক্ষয় হয়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ মাত্রই যান জিমে বা শরীরচর্চা করেন বাড়িতে। অনেকে আবার নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। তবে ট্রেডমিল নয়, বরং বাইরে হাঁটলে ওজন কমে দ্রুত। শুধু তা–ই নয়, এতে অবসাদ দূর হয় এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য বাইরে…
মানুষের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দূরত্ব পাড়ি দেওয়া এই দুই নভোযান হচ্ছে ভয়েজার ১ ও ২। ১৯৭৭ সালে যাত্রা করে ভয়েজার এক আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে পৌঁছেছে ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট। একই সময় যাত্রা করে ভয়েজার ২ সৌরজগতের সীমা পেরিয়ে গেছে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর। সে জন্য ভয়েজার ১ পেয়েছে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের সহায়তা। আর ভয়েজার ২ পেয়েছে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনের সাহায্য। মহাজাগতিক বস্তুদের এই ঘটনার নেপথ্যে মূল কারিগরের নাম মহাকর্ষ। ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছেন এর মূল কথাটি—মহাবিশ্বের যেকোনো দুটো বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তবে এই আকর্ষণের নেপথ্যের কারিকুরিটা ফাঁস করে দিয়েছেন আলবার্ট আইনস্টাইন। আপেক্ষিকতার সাধারণ বা সার্বিক তত্ত্বের…
বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি বলা হয় তাঁকে। নিজের সর্বশেষ বিলাসবহুল ম্যানশন বাড়িটি বিক্রি করে তিনি কোথায় থাকছেন এখন? আগে এক্স-এ ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন ইলন মাস্ক, তিনি একটি মাত্র বিলাসবহুল বাড়ির মালিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর এই বাড়িটি বিক্রি করে দিতে পারেন তিনি পছন্দমতো পরিবার পেলে। ১৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বিশাল ম্যানসনটি কোনো আগ্রহী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। তবে নতুন খবর হলো, এই বাড়ি তিনি আসলেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এক্স, টেসলা আর স্পেস এক্সের মালিক এই ধনকুবের এখন থাকছেন কোথায় তাহলে? ইলন মাস্কের বাড়ি কে কিনেছেন, তা অবশ্য জানা যায় নি এখনও।…
পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবকে মেরে পানিকে পানের উপযোগী করে তুলে। বিশুদ্ধকরণ করতে সক্ষম এই ট্যাবলেটগুলোতে থাকে ক্লোরিন, ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড অথবা আয়োডিন। এই কেমিক্যালগুলো পানিতে থাকা ক্ষতিকর অনুজীবদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। এতে পানি হয়ে ওঠে নিরাপদ ও পানের উপযোগী। বাংলাদেশে যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটগুলো সহজেই পাওয়া যায় ঢাকার নামকরা ফার্মেসি যেমন লাজ ফার্মা, ওয়েল বিইং ইত্যাদির বিভিন্ন আউটলেট ঘুরে ও কথা বলে জানা গেল কিছু বহুলব্যবহৃত পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেটের কথা। এই ট্যাবলেটগুলোর বিষয়ে সাধারণ তথ্য পাওয়া যায় নির্দেশিকার সঙ্গেই। অ্যাকুয়াট্যাবস বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত এই ট্যাবলেট। এটি পানির স্বাদ পরিবর্তন করে না আর দ্রুত কাজ করে৷ পানিতে…
ধরুন আপনি একটা বল ছুড়ে দিলেন ওপর দিকে। পৃথিবী বলটাকে টেনে ফের মাটিতে নামিয়ে আনবে। কিন্তু বলটা যদি এত বেশি বেগে ছুড়ে দেন যে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় আকর্ষণের চেয়েও বলটির বেগ বেশি হয়? তাহলে বলটা আর ফিরে আসবে না। এর নামই মুক্তিবেগ। এটা আমরা সবাই জানি। জানি, পৃথিবীর জন্য এই মুক্তিবেগের মান সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই বেগ বা আরও বেশি বেগে বলটাকে ছুড়ে দিলে সেটা পেরিয়ে যাবে পৃথিবীর মহাকর্ষ। তারপর? সেটা ছুটতে থাকবে। নভোযানে জ্বালানির পরিমাণ নির্দিষ্ট। কিন্তু সেটা কোনো সমস্যা নয়। কারণ, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে গেলে আর কোনো বাধা নেই। কোনো কিছু নভোযানের বেগ কমিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করবে না।…
ব্যাটার দাঁড়িয়ে আছেন। চারপাশে ফিল্ডাররা প্রস্তুত। আম্পায়ার তীক্ষ্ম চোখে খেয়াল করছেন সবকিছু। ফাস্ট বোলার ছুটে আসছেন। বল বেরিয়ে গেল হাত থেকে, গড়পড়তা ঘণ্টায় ১৩২ কিমি বেগে ড্রপ খেল পিচের মাঝখান থেকে খানিকটা সামনে। শর্ট বল। বলে বাউন্স ছিল, লাফিয়ে উঠে পড়ল অনেকটা ওপরে। ব্যাটার অনেক কষ্ট করে মারার চেষ্টা করলেন না। আলতো করে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে হালকা বদলে দিলেন বলের গতি। আপারকাট। উইকেটকিপারের কাঁধের ওপর দিয়ে বল ছুটে গেল, ড্রপ খেল বাউন্ডারির একটু সামনে, তারপর পেরিয়ে গেল বাউন্ডারি। আম্পায়ার ডানে-বাঁয়ে হাত নাড়িয়ে সংকেত দিলেন—চার। এত বড় করে এই ঘটনা বর্ণনা করার কারণটা হয়তো বুঝতে পারছেন শিরোনাম থেকেই। হ্যাঁ, ঠিক এভাবেই…
সমুদ্রের পানি নীল দেখায়, তাহলে নদীর পানি নয় কেন? আসলে পানির রং বলতে গেলে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, সাদা। কিন্তু সূর্যের আলোর বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল, কমলা, সবুজ প্রভৃতি রশ্মি সমুদ্রের পানিতে বেশি শোষিত হয় আর কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল রশ্মি সবচেয়ে কম শোষিত হয়ে বেশ কিছুটা নীল রং ফেরত আসে। সমুদ্রের পানিতে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে আমাদের চোখে নীল রংটি পৌঁছায় বলে সমুদ্রের পানি নীল দেখায়। আকাশও নীল দেখায় ঠিক একই কারণে। বাতাসে নীল রংটি বেশি বিচ্ছুরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেই রংটিই আমাদের চোখে পৌঁছে আকাশের রং নীল হয়ে ধরা দেয়। এখন প্রশ্ন ওঠে, তাহলে নদীর পানি কেন নীল দেখায় না, বরং অনেকটা…
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে অনেক রহস্যজনক ব্যাপার ঘটে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে—অনেক জাহাজ হঠাৎ সমুদ্রের মাঝপথে স্রোতে ঘূর্ণিতে পড়ে ডুবে যায় বা ওই এলাকার আকাশপথে উড়ে যাওয়ার সময় রহস্যজনক ঘূর্ণিপাকে পড়ে কোনো উড়োজাহাজ কোথায় যেন হারিয়ে যায় ইত্যাদি। ভূতের গল্পর মতোই। শুনে গা শিউরে ওঠে। একধরনের মজা পাই। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল হলো আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্ব উপকূলের অদূরে আটলান্টিক মহাসাগরে ত্রিভুজাকৃতি রূপে চিহ্নিত একটি অঞ্চল। এক প্রান্তে ফ্লোরিডার মিয়ামি, আরেক প্রান্তে পুয়েরটোরিকোর স্যান জুয়ান ও তৃতীয় প্রান্তে উত্তর অ্যাটলান্টিকের বারমুডা দ্বীপ। এই তিন প্রান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ এলাকাটিতেই নাকি ওই রহস্যজনক ঘটনা বারবার ঘটছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অনেক খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে এর মধ্যে…
আজকাল প্রায় সবারই লম্বা সময় ধরে কাজ করেন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে। আর দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ঘুম ছাড়া বাকি সময়টুকু আজকাল সামাজিক মাধ্যমেই কাটছে সবার। এছাড়া ক্লাসে, অফিসে বা বাড়িতে এসির বাতাস সরাসরি মুখে লাগছে। অথবা সাইকেল, মোটরসাইকেল চালিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া হচ্ছে দ্রুতগতিতে। এ রকম প্রতিটি ক্ষেত্রেই খেয়াল করলে দেখা যাবে, কিছুক্ষণ সামান্য অস্বস্তি শুরু হবে চোখে, হালকা জ্বালাপোড়া বা চোখে করকর করবে। এই সমস্যাগুলোকে এককথায় বলা যায় ড্রাই আইজ বা চোখের শুষ্কতা। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আমাদের চোখের যে স্বাভাবিক আর্দ্রতার মাত্রা আছে তার হেরফের হওয়া। এই পরিবর্তনে চোখ জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে…
ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এতদিন পর্যন্ত এই প্রযুক্তি শুধু আইফোনেই পাওয়া যেত, তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাও এখন এই সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। এই পদক্ষেপের কারণে একদিকে যেমন চার্জিংয়ের চিত্র বদলে গেছে অন্যদিকে চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডও স্থাপিত হয়েছে। এমন সময়ে এই প্রযুক্তির ঘোষণা এলো, যখন স্মার্টফোন শিল্প ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। প্রযুক্তির উন্নতি এবং গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ইনফিনিক্স দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি চালু সেই প্রতিজ্ঞারই প্রতিফলন। এর আগে কিউআই প্রটোকল ২.০-এর মাধ্যমে শুধু অ্যাপল ডিভাইসে এই প্রযুক্তি সীমাবদ্ধ ছিল। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ইনফিনিক্সই প্রথম এই…
ইতিমধ্যে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। সাউন্ড টেকনোলজি এখন পুরোটাই ডিজিটাল। সে ক্ষেত্রে স্টেথোস্কোপও ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের অতি কম মাত্রার শব্দও এখন যন্ত্রের মাধ্যমে শোনা সম্ভব। শুধু তা–ই নয়, সেই শব্দকে রেকর্ড করে রাখাও এখন সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের মাধ্যমে। এই ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগনির্ণয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। পৃথিবীর সব দেশেই দ্রুত বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। পৃথিবীতে প্রতিবছর যত রোগী মারা যায়, তাদের শতকরা ৩১ ভাগ হলো হৃদরোগী। হৃৎপিণ্ডের সঠিক শব্দ শুনেই হৃদ্রোগের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ শব্দকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রূপান্তর ঘটায়। তারপর সেই ইলেকট্রনিক সিগন্যালকে যেভাবে খুশি সেভাবে প্রসেস…
প্রথম মানব ইমপ্লান্টের পর অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলো ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ নিউরালিংক। কারণ ডিভাইসটি রোগীর মাথার খুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে- ক্যাপচার করা ডেটার পরিমাণও হ্রাস হতে শুরু করেছে।নিউরালিংকের ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস, যা বিসিআই নামে পরিচিত, জানুয়ারিতে ২৯ বছর বয়সী রোগী নোল্যান্ড আরবাগের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছিল। চিপটি প্যারালাইসিস রোগীদের শুধুমাত্র তাদের মন ব্যবহার করে বাহ্যিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আরবাগ- যিনি আট বছর আগে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে কাঁধ থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন-ডিভাইসের নিরাপত্তা পরীক্ষা করার জন্য নিউরালিংকের ছয় বছরের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করছেন। নিউরালিংক আরবাগের নয় মিনিটের একটি ভিডিও লাইভ স্ট্রিম করেছে যা দেখায় যে বিসিআই…
দীর্ঘ কয়েক মাস পর আবারও সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে ভয়েজার ১। গত বছরের নভেম্বরে থমকে গিয়েছিল ভয়েজার ১-এর তথ্যপ্রেরণ। ঠিক থেমে যায়নি, অর্থহীন সংকেত পাঠাচ্ছিল ভয়েজার ১। জানা গিয়েছিল, একটা কম্পিউটার গ্লিচের জন্য এমনটা হয়েছে। সেই গ্লিচটি অবশেষে ঠিক করতে পেরেছেন প্রকৌশলীরা। ফলে আবারও অর্থবোধক বেতার সিগন্যাল পাঠাতে শুরু করেছে ভয়েজার ১। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি এ তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য বর্তমানে অর্থবোধক তথ্য থেকে শুধু এর অবস্থা ও ভেতরের ইঞ্জিনিয়ারিংসিস্টেমের কথা জানা যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য পাঠানোর জন্য এর যে সফটওয়্যার ঠিক করতে হবে, এখনো তা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ভয়েজার ১ উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৭ সালের…