লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়সটা যাঁদের ৩০ ছাড়িয়েছে, তাঁরা অনেকেই জীবনের নানা রূপ দেখে ফেলেছেন। বাড়িতে ও কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বও হয়তো বেড়েছে। নিজের অলক্ষ্যে বয়সটাও যে বাড়ছে, তা খেয়াল রাখার প্রয়োজনটা অনেকেই অনুভব করেন না। বয়স তো বাড়বেই। বেঁধে রাখা যাবে না। সময়ের সঙ্গে বরং নিজের সুস্থতার জন্য কিছু সুঅভ্যাসের চর্চা করুন। আগে থেকেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকা সম্ভব।
জেনে নেওয়া যাক, ত্রিশের পর কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
চিনিসমৃদ্ধ খাবার
মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনির বিকল্প মধু? না, তা-ও নয়। কারও সুসংবাদে ‘মিষ্টিমুখ’ করতেই হবে? একখানা মিষ্টি না খেয়ে অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে খান। এই আধখানা মিষ্টিও খাবেন কালেভদ্রে। কোমল পানীয় একেবারেই বাদ দিতে হবে। প্যাকেটজাত জুসও খাবেন না। ফলের রস, স্মুদি যেটিই খেতে চান, বাড়িতে তৈরি করে খান। এসব পানীয়ের রেসিপি থেকেও অবশ্যই বাদ যাবে চিনি। আচার বা চাটনিতেও কিন্তু চিনি থাকে। তাই এগুলো খেলেও কম খাবেন। আইসক্রিম খাবেনই না।
লবণসমৃদ্ধ খাবার
রান্নার স্বাভাবিক লবণের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়। পাতে বাড়তি লবণ নেবেন না। লবণ দিয়ে সালাদ মাখাবেন না। ফলমূলও খাবেন না লবণ মাখিয়ে। কাসুন্দিতেও প্রচুর লবণ থাকে। চিপস ও নানা রকম প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি লবণ থাকে। সস, সয়া সস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চানাচুর, সসেজ, পনির ও শুঁটকিতে অনেক লবণ থাকে। তাই এগুলোও কম খাবেন; সম্ভব হলে একেবারেই খাবেন না।
ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা খাবার
কাজের বিরতিতে শিঙাড়া-পুরি কিংবা বিকেলে-সন্ধ্যায় আড্ডার সময় ফাস্ট ফুড খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এমন অভ্যাস বদলে ফেলা আবশ্যক। তেলে ভাজা খাবার, বিশেষত ‘ডিপ ফ্রাই’ বা ডুবো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। পিৎজা, পাস্তা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, প্যাটিস খাবেন না। নাশতা হিসেবে খেতে পারেন ফল বা সবজির সালাদ।
মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ
মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ বা ক্রিমের মতো উপকরণ থাকলে খাবারের স্বাদ বাড়ে। এগুলোর কোনোটিই এ বয়সের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। কেক, পেস্ট্রিও তাই এড়িয়ে চলাই ভালো। বিস্কুট বা কুকিজও কম খাবেন। ত্রিশোর্ধ্ব কারও জন্য মিষ্টি বিস্কুট বা নোনতা বিস্কুট কোনোটিই খুব একটা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়।
লাল মাংস, বিরিয়ানি ও তেহারি
রেডমিট বা লাল মাংস (যেমন গরু বা খাসির মাংস) এড়িয়ে চলুন। অল্পস্বল্প খেলেও চর্বির অংশ বাদ দিয়ে খাবেন। বিরিয়ানি বা তেহারির মতো খাবারও না খাওয়াই ভালো। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাবার গ্রহণ করুন।
সূত্র: হেলথলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।