বিনোদন ডেস্ক : ‘আমি মনে করি প্রত্যেক শিল্পীর জীবনেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তি সবচেয়ে বড় অর্জন। এই প্রাপ্তি সত্যি ভীষণ আনন্দের, গর্বের। দ্বিতীয়বারের মতো আমাকে এই সম্মান দেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কতটা খুশি হয়েছি তা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না।’—জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে এভাবেই কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী চন্দন সিনহা।
গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২। যেখানে ‘হূদিতা’ চলচ্চিত্রে ‘ঠিকানা বিহীন তোমাকে’ গানের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ গায়ক নির্বাচিত হয়েছেন চন্দন সিনহা এবং ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রে ‘এ মন ভিজে যায়’ গানের জন্য বাপ্পা মজুমদার। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে চন্দন সিনহা ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি’ চলচ্চিত্রে ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো’ গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় চন্দন সিনহা ভবিষ্যতে আরও ভালো গান উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। চন্দন সিনহা বলেন, ‘আমার জীবনে গান সংখ্যা কম। আমি স্ক্রিনেও খুব কম আসি। তবে এই কম সংখ্যাই গুণী গীতিকবি, সুরকারের জন্য অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমার শিল্পকর্ম মানুষ জানুক। আমাকে না চিনলেও হবে। এভাবেই নিভৃতেই নিজের মতো করে কাজ করে যেতে চাই।’
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গানের জগতে আছেন শিল্পী চন্দন সিনহা। চট্টগ্রামে তার পরিবারে ছিল সাংস্কৃতিক আবহ। স্বপ্ন ছিল ভারতের মুম্বাইতে গান করার। সেজন্য বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ না হওয়াতে চলে আসেন দেশে। সখ্য হয় প্রয়াত নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে। চন্দন সিনহাকে তার বেশিরভাগ নাটক বা চলচ্চিত্রের পুরুষ কণ্ঠ হিসেবে পছন্দ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।