জুমবাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন অবসর গ্রহণ করেন তখনও তারা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণে আমান আজমীকে তার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হতে হয়।
বয়স ভিত্তিক পেনশন সুবিধা একক কালীন আর্থিক নিরাপত্তা সুবিধা, মেডিকেল সুবিধা যেমন সেনাবাহিনীর হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবারের সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা থাকে, যা আজমির পরিবারও বঞ্চিত হয়েছে।
একজন সেনাকর্মকর্তা যখন অবসরে যায় তখন দৃষ্টান্তমূলক সেবা ও কৃতিত্বের জন্য সামাজিক সম্মাননা পুরস্কার বা বিশেষ সার্টিফিকেট পেয়ে থাকেন। দীর্ঘ সময় সেবা দেওয়ার জন্য সরকার বা সেনাবাহিনী বিশেষ পদক ও পুরস্কার প্রদান করে, যা তাদের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে। কিন্তু একজন দক্ষ ও চৌকস সেনা অফিসার হওয়ার পরও আবদুল্লাহিল আমান আজমিকে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার কথিত অভিযোগে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ নয় সালের ২৩ জুন জারিকৃত উক্ত বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন বাতিল করায় এখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিগেডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত আবদুল্লাহিল আমান আজমী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমীকে বরখাস্তের আদেশ ‘প্রমার্জনা’ করে তার পরিবর্তে তাকে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে এই ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’কার্যকর ধরা হয়েছে এবং একই তারিখে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে প্রযোজ্য সব প্রকার আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ইতিপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ২৩ জুন জারিকৃত ওই কর্মকর্তার বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর ২০১৬ সালে গুমের শিকার হন তিনি। গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে দীর্ঘ ৮ বছর পরে গত ৬ আগস্ট দিবাগত রাতে গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পান আযমী। সেদিন ভোরেই তাকে মুখোশধারী কয়েকজন লোক গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকায়। পরে তিনি পরিবারে ফেরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।