জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সময়ই পুলিশের বিভিন্ন সাহসি ভূমিকার ঘটনা ভাইরাল হয়। এবার এক নারী পুলিশের তেমনি একটি ঘটনা প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের। ১০ মাস বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী এক মা।
নেশাগ্রস্ত স্বামীকে আর দিনের পর দিন চলতে থাকা পারিবারিক কলহ মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। তবে এক নারী পুলিশের বুদ্ধিমত্তা ও আন্তরিকতায় রক্ষা পেলেন এই মা ও শিশু।
খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় হঠাৎ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক রাশেদা খেয়াল করেন, এক নারী তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা ট্রেনের দিকে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করছে বুঝতে পেরে রাশেদা দ্রুত দৌড়ে গিয়ে তকে ঠেলে লাইনের বাইরে সরিয়ে দেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেনটি ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। বেঁচে যান ও তরুণী মা ও শিশু।
শুক্রবারের (২২ এপ্রিল) এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদা তার ফেসবুকে এ ঘটনার বর্ণনায় লেখেন, খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ডিউটি করাকালীন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনটি ছেড়ে আসে। আমি খুব দ্রুত ট্রেন লাইন ক্লিয়ার করে দেই এবং ট্রেন আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এর মধ্যে ট্রেন খুব কাছে চলে এসেছে, ঠিক সেই সময় ১৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে কাঁধে দশ মাস বয়সী একটি বাচ্চাকে নিয়ে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে ট্রেনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তৎক্ষণাৎ আমি তার গতিবিধি বুঝতে পেরে মেয়েটির পেছনে দৌড়ে যাই এবং সজোরে ধাক্কা দিয়ে লাইনের বাইরে সরিয়ে দেই। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেনটি খিলগাঁও রেলগেট অতিক্রম করে চলে যায়। পরে মেয়েটিকে নিজের হেফাজতে নিয়ে তার সাথে কথাবার্তা বলেছেন এএসআই রাশেদা।
তিনি লেখেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, তার দুটি সন্তান আছে, স্বামী নেশাগ্রস্ত। নিয়মিত পারিবারিক কলহ লেগে থাকায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। পরে মেয়েটিকে এবং তার বাচ্চাটিকে ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিকটস্থ থানার হেফাজতে তুলে দেয়া হয় বলে জানান রাশেদা। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাশেদা উচ্ছ্বাস নিয়ে ফেসবুক আরও লেখেন, পুলিশে চাকরি করে আজ আমি ধন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।