লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্তানের দুষ্টামি সবসময় অভিভাবকদের ভালো লাগে না। বিশেষ করে রাতে। অনেক বাচ্চাই রাতে ঘুমাতে দেরি করে। এতে সারাদিনের ক্লান্তির পর তাদের ঘুমটা ভালো হয় না। তখনই হয়তো মনে হয় বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর।
আর ছোটবড় সবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। সন্তানের ঘুম ঠিকঠাক না হলে তার এনার্জি, নিউরোলজিক্যাল ফাংশন, মেজাজ-মর্জি, শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্ত্রগুলো ব্যাঘাত ঘটে। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি মিলতে পারে বাচ্চার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলে। জেনে নিন এমন কয়েকটি খাবারের নাম, যেগুলো সন্তানকে ঘুম পাড়াতে সাহায্য করে।
দুধ: এক গ্লাস গরম দুধ ভালো ঘুম হওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। তাই দুধ ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।
ডিম: ডিম শুধুমাত্র যে উচ্চমানের প্রোটিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ তা কিন্তু নয়। এটি হলো ট্রিপটোফ্যানের প্রাকৃতিক উৎস, যা এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড। ডিমে থাকা এই অ্যামিনো অ্যাসিড, সেরোটোনিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এমন একটি রাসায়নিক যা স্লিপ সাইকেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কলা: কলা ট্রিপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, তাই এটি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতির ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনার বাচ্চা কলা খেতে না পছন্দ করে, তাহলে তাকে ম্যাগনেসিয়ামের অন্যান্য উৎস, যেমন বিভিন্ন ধরনের বাদাম, পালংশাক এই জাতীয় খাবার দিতে পারেন।
খেজুর: সন্তান যদি মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চায়, তাহলে তাকে খেজুর দিতে পারেন। খেজুর ঘুমের জন্য কাজ করে। খেজুরে ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম থাকে, যা ঘুম আসতে সহায়তা করে।
ছোলা: ছোলা অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ, যা মেলাটোনিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ছোলাতে ভিটামিন বি৬ থাকে, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয়। মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন উভয়ই ঘুম হতে সহায়তা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।