লাইফস্টাইল ডেস্ক : পিরিয়ডকালীন মেয়েদের বহুরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শারীরিক সমস্যার কারণে কোথাও বেরোনো বা কোনও কিছুতে যোগ দেওয়া, তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। পিরিয়ডের সময় যাতে সমস্যা বা অপ্রিয় পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়, তার জন্য বাজারে এসে গেছে অসংখ্য ব্র্যান্ডের প্যাড।
কিন্তু পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য তেমন কোনও সুবিধা নেই। এমনকি সামাজিক কারণে এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনাও যথেষ্ট সীমিত। তাই অনেক মেয়েরা পিরিয়ডের সময় হওয়া পিঠ ও কোমরের মুখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হন। আর এই কষ্ট নয়, এই প্রতিবেদনে রয়েছে এমন কিছু ঘরোয়া সমাধান যা আপনাকে দূরে রাখবে ব্যথা থেকে। কারওর সাহায্য ছাড়াই আপনি সুস্থ থাকবেন পিরিয়ডের সময়।
১। আদা
পিরিয়ডের সময় কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত যে খাদ্যবস্তু সাহায্য করে, তা আদা। নারী শরীরের যে হরমোনটি ব্যথার কারণ, তার ক্ষরণ আটকায় কিন্তু আদা। আদা সারাবছর সস্তায় বাজারে মেলে। এই আদা আপনি সবকিছুতেই খেতে পারেন। চায়ে মিহি করে মিশিয়ে আদা চা করে খেতে পারেন। অথবা আদাকুচি গরম জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন, এরপর মধু মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেলেও ব্যথা কমবে। এছাড়া অনেক বাঙালি রান্নাতে আদার ব্যবহার তো প্রচলিত আছেই।
২। অন্যরকম খাবার খান
অনেকেই আছেন যাঁদের রোজ বাইরের খাবার খাওয়া পছন্দ , বাইরের খাবার যদি নাও হয়, বাড়িতে ঝালঝোল, ভাজাভুজি এসব চাই-ই চাই। পিরিয়ডের সময় বাইরের ফাস্টফুড একদম বন্ধ রাখা ভালো। বাইরের খাবার শরীরে আরও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই জতীয় খাবার বাড়িয়ে দেয় পিঠ ও কোমরের ব্যথাও। বাদ রাখুন ভাজাভুজিও। বেছে নিন ফলজাতীয় খাবার, যাতে আছে প্রচুর জল ও খনিজ পদার্থ। ফলের মধ্যে কলা বেশি করে খান কারণ এটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও দুপুর ও রাতের খাবারে রাখুন বেশি পরিমাণে শাকসব্জি। আপনার শরীরে এই সময় প্রয়োজন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। তাই ফলের মধ্যে বেদানা, খেজুর প্রভৃতি ফলকে বেশি গুরুত্ব দিন।
৩। অর্গ্যাজম হওয়া ভালো
অর্গ্যাজমের ফলে এনডরফিন হরমোনের নিঃসরণ হয়। যা আপনার শরীরকে আরাম দেয়। তাই ব্যথা সহ্য না করতে পারলে অর্গ্যাজম করা ভালো। এতে অন্তিম মুহূর্তের আগে জরায়ুও রিল্যাক্সড হয়। জরায়ুতে রক্তের ফ্লো আসে যার ফলে পিঠ ও কোমরের ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি মেলে।
৪। হার্বাল টি খান
চায়ের মধ্যে পিপারমিন্ট ফুটিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে খান , এতে পিঠ ও কোমরের ব্যথা অনেকটা কমবে। এছাড়াও খেতে পারেন লেবুরস দেওয়া চা। একইভাবে আদা চাও সমান উপকারী। এই চা’গুলো পিরিয়ডের সময় হওয়া ক্লান্তিভাব কমাতেও সাহায্য করে ও শরীরকে করে তোলে সতেজ।
৫। প্রচুর পানি খান
এমনিতে শরীরের বিভিন্ন আন্তঃক্রিয়া সচল রাখতে ও খাবার ঠিকমত হজম রাখতে জল খাওয়া অবশ্যই দরকার। কিন্তু পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে বাড়িয়ে দিতে হবে জল খাওয়ার পরিমাণ।
৬। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন
পিরিয়ডের সময় ব্যথা একটি সহ্যসীমার মধ্যেই সাধারণত থাকে। যদি তা না হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অসহ্য ব্যথা হতে থাকে তবে অযথা সময় নষ্ট না করে একজন দক্ষ গাইনিকোলজিষ্টের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
পিরিয়ডের সময় আপনাকে অনেকরকম কষ্টই মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। কিন্তু এবার আর কষ্ট না পেতে এই ঘরোয়া টোটকাগুলো প্রয়োগ করুন, দেখবেন আগের তুলনায় অনেক সুস্থ আছেন।
সূত্র-আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।