জুমবাংলা ডেস্ক : টানা ১৯ দিনের তাপপ্রবাহের পর দুইদিন কমেছিল তাপমাত্রা। এরপর তাপমাত্রা বেড়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ছয় জেলায় ফের শুরু হয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ।
আগামী দুই-তিন দিনে গরম আরও বেড়ে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা দুটোই বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে এরপর আবার ঝড়-বৃষ্টি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বান্দরবানে। ঢাকায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার বিষয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, এ সময়ে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
গত ৪ এপ্রিল দেশের তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গত ২৩ এপ্রিল দূর হয় তাপপ্রবাহ। তবে তাপপ্রবাহ চলাকালীন দেশের অনেক স্থানেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পায় সারাদেশের মানুষ।
তিন জেলার নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।