বালু ছড়ানোয় ৪ বছরের শিশুকে ডোবায় নিক্ষেপ করলেন শিক্ষক

Baby

জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রাস্তায় রাখা বালু নিয়ে খেলায় চার বছরের এক শিশুকে ডোবার পানিতে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হাজী শাহাজাহান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের বুড়িচং পূর্ব পাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা।

Baby

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শিশুটির মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক।

ভিডিওতে দেখা যায় ওই শিশুটির মা যখন ওই ব্যক্তিকে বলছিলেন, আপনার মধ্যে কি মনুষ্যত্ব নেই আপনি আমার বাচ্চাকে পানিতে ফেলে দিলেন। আপনি একজন সামাজিক মানুষ হয়ে এমন কাজ কিভাবে করতে পারলেন। একটু বালু ফেলে দিয়েছে বলে আপনি এভাবে আমার বাচ্চাকে পুকুরে ফেলে দেবেন। আপনি কি একটা যুক্তিসঙ্গত কাজ করলেন এটা।

ওই ব্যক্তি পাল্টা জবাবে বলেন, আজকে ২০ দিন ধরে সবাইকে বলতেছিলাম কেউ আমার কথা শুনেনি। তোমার বাচ্চা এখানে এসে বালি ধরেছিল । তোমার বাচ্চা আমার এখানে আসবে কেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুর মা শামছুন নাহার তানিয়া বলেন, আমার সন্তানকে মাস্টার শাহাজাহান হত্যা করার চেষ্টা করেছে আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চায়।

মামলার নথির সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে নজির আহম্মেদের দুই মেয়ে মিফতাহুল মাওয়া এবং গালিবা সুলতানা (১০) শাহজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় রাখা বালি নিয়ে খেলা করছিল। সেসময় শাহজাহান বালি নষ্ট করার অভিযোগে চার বছরের মাওয়াকে মারধর করে এবং কোলে তুলে পাশের ডোবায় ছুড়ে ফেলে দেয়।

এ ঘটনা দেখে তার বড় বোন গালিবা ছোট বোনকে উদ্ধারের জন্য কান্না করলে শাহজাহান তাকেও মারধর করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শাহজাহান চলে যান। তখন প্রতিবেশীরা আহত দুই শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মাওয়ার অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যা জানালেন চিকিৎসক

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শিশুর মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানা একটি শিশু নির্যাতন মামলা করেন করেন। আমরা আসামিদের ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি।