লাইফস্টাইল ডেস্ক : কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি মাপের কলায় থাকে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। এটি হার্টের জন্য বেশ ভালো। কলা মিষ্টি বলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এমনটা নয়।
ডায়াবেটিসের রোগীরাও কলা খেতে পারেন। খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দূর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কলার পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। পেট পরিস্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। কলার অনেক গুনের কথা জানলেন। এবার চুলন জেনে নেই কলার এই অংশটা খাওয়া ঠিক না কি ঠিক নয়।
কলার খোসা ছাড়াতেই দেখা যায় লম্বা সাদা সূতার মতো জিনিস। খোসা ছাড়ালেও এটা কলার গায়ে লেগেই থাকে। অনেকর বিরক্ত লাগে এটাকে। একে বলা হয় ফ্লোয়েম বান্ডেল। অনেকে আবার কলা খাওয়ার সময় এটা সহই খেয়ে ফেলে। কিন্তু এই ফ্লোয়েম বান্ডেল খাওয়া কী ঠিক? এটা অনেকেই জানি না। খেতে একদম ভালো না হলেও কিন্তু এটা খাওয়া জরুরি। কলা থেকে ফ্লোয়েম বান্ডেলের গুণাগুন অনেক আলাদা। এটি একটি পরিবহন টিস্যু।
প্রতিটি উদ্ভিদের মধ্যেই এটি রয়েছে। এই টিস্যুর মধ্যে দিয়েই পুষ্টি সহ অন্যান্য উপাদান ফলের ভিতর পরিবহন হয়ে থাকে। এটি কলার বৃদ্ধিতে এবং অন্যান্য বিষয়ে সাহায্য করে থাকে। এই টিস্যু যে কেবল কলায় থাকে এমনটা নয় সমস্ত ফলেই থাকে।
ফ্লোয়েম বান্ডেলগুলো সম্পূর্ণরূপে খাওয়া যেতে পারে এবং ফলের মূল অংশ হিসেবে তা পুষ্টিকরভাবে সমৃদ্ধ। সম্ভবত পুরো কলার তুলনায় এর ফ্লোয়েম বান্ডেলে অনেক বেশি ও বিভিন্ন ধরনের ফাইবার রয়েছে। যেকোনো ফাইবার মানেই স্বাস্থ্যকর। মানুষের শরীরের জন্য এটি ভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাবে। কারণ এটা যে ক্ষতিকর এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কেই বেশি জানা গিয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।