লাইফস্টাইল ডেস্ক : ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষরাই দায়ী বলে পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে। এর চিকিৎসা থাকলেও তা বেশ খরচ সাপেক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের স্মরণাপন্ন হওয়ার আগে খাবার-দাবারের মাধ্যমে বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধের চেষ্টা করা যেতে পারে। স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত খাবার নিয়মিত খেতে পারলে সুফল অবশ্যই পাবেন। তবে ডায়াবেটিস বা কোনোও বিশেষ খাবারে অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আসুন জেনে নেই বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমাবে যেসব খাবার।
রসুন : শুক্রাণুর সংখ্যা এবং কার্যকারিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে রসুন অত্যন্ত কার্যকরী। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ ও সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপাদানগুলো পুরুষদের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পালং শাক : শরীরে ফোলেটের মাত্রা কমতে থাকলে শুক্রাণুর সংখ্যাও কমতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের (নিউট্রিশনিস্ট) মতে, পালং শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৯ রয়েছে। সক্রিয় শুক্রাণুর জন্য এই ভিটামিন বি-৯ খুবই জরুরি। এটি শুক্রাণুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম: বন্ধ্যাত্ব কাটাতে বা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে ডিম অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা শুধু শুক্রাণুর সংখ্যা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ সেদ্ধ ডিম খেতে পারলে শুক্রাণুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কলা : বিশেষজ্ঞেরা জানান, পুরুষদের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য কলা অত্যন্ত কার্যকরী। কলায় রয়েছে ভিটামিন সি আর ভিটামিন বি-১ যা শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকোলেট : শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা বাড়াতে ডার্ক চকোলেট খুবই কার্যকরী। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে এল-আর্জিনিন এইচসিএল যা শুক্রাণুর সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্রোকোলি : ব্রোকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৯। এটি শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্রোকোলি খেলে স্পার্ম কাউন্ট প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।