জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পৌষের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কনকনে শীত উপেক্ষা করেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন বোরো জমি ট্রাক্টর ও গরু দিয়ে চাষে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিমশীতল পানি, কাদামাটি আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কষ্টকে পেছনে ফেলে অনেক চাষি বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে সেই চারা আবার জমিতে রোপণ করছেন। অনেকে কোদাল দিয়ে করছেন জমির আইল কেটে আর জমির আগাছা পরিষ্কার করে চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। অনেকে জমিতে জৈব সার ছিটানোসহ তৈরি জমিতে পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে তা ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এ সময় শ্রমিক সঙ্কট থাকায় কোথাও কোথাও বোরো চারা রোপণে কৃষকদের সাহায্য করছেন তাদের পরিবারের ছোট-বড় সদস্যরা।
এ ব্যাপারে কৃষক আলী হোসেন জানান, আমন মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় তিনি এবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ব্যবসার পাশাপাশি বোরো ধান চাষাবাদে মনোযোগ দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদী।
এরমেধ্য অনেকের আবার আশঙ্কাও রয়েছে। তারা ফাল্গুন চৈত্র মাসে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি না হলে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে ব্যাহত হতে পরে চাষাবাদ। যার ফলে ভালো ফলন হওয়ার অনেকটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে।
উপজেলার সর্বত্র এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এখন উপজেলার শৈলজুরা, উচাইল, ব্রাহ্মণডুরা, রপুর, কাজিরগাঁও, নিশাপট, বড়চর, ডাকিজাঙ্গাল, লাদিয়া, লেঞ্জাপাড়া, কদমতলী ও আশপাশের রাজাকপুর, উবাহাটা, উলুকান্দিসহ সর্বত্র এমন কর্মযজ্ঞ দৃশ্যমান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জানান, উপজেলা কৃষিবিভাগ উপজেলার কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ, সার ও কীটনাশক বিতরণ করেছে। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার গোটা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।