নজরুল মৃধা : রংপুর নগরীর একটি বাড়ির ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে বাসরলতা নামের গাছ। এই গাছ কিছুটা মাধবিলতার মতো হলেও এর সৌন্দর্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। এই গাছ সচরাচর দেখা যায় না।
জানা গেছে, বাসরলতার ইংরেজি নাম মায়সুর ক্লক ভাইন বা শুধু ক্লক ভাইন। এটি দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় গাছ। আমাদের দেশে খুব একটা দেখা যায় না এই লতানো গাছটি। বাসরলতা গাছ শক্ত, এটি সাধারণত ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এ গাছের ফুল পুরোপুরিভাবে খোলে না। পাতার বিন্যাস বিপ্রতীপ, লম্বাটে ও গভীর শিরাযুক্ত। পাতার দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
বাসরলতার ঝুলন্ত মঞ্জরিতে তামাটে-লাল ফুল থাকে প্রায় সারা বছর। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। দুই সন্ধি ও দুই পাতাবিশিষ্ট লতা সংগ্রহ করে টবে সাধারণ দোঁআশ মাটিতে এই গাছ জন্মানো যায়। এ গাছের বেশকিছু ওষুধি গুণ রয়েছে। জ্বর, কৃমিরোগ, হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা ও বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
বুধবার সকালে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় প্রকৃতি বিষয়ক লেখক ও কবি রানা মাসুদের ছাদ বাগানে এই বাসরলতার গাছটি দেখা গেছে। তিনি বলেন, বছর তিনেক আগে এই গাছের চারাটি বগুড়া থেকে এনেছিলেন। লতানো এই গাছ সাধারণত সব জায়গায় দেখা যায় না। এই ফুল প্রকৃতিতে বাসর সাজায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।