লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন মরশুমি সবজি। পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমনই একটি সবজি হল বিট। শরীরের অনেক জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে বিটের জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ এই সবজি। বিটে রয়েছে ফাইবার যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য একাই একশো। বিট কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। পুষ্টির খনি হলেও শরীরে কয়েকটি সমস্যা থাকলে বিট না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাদের বিট খাওয়া উচিত নয়-
১. নিম্ন রক্তচাপ- পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। বিটরুট খেলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে। ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে বিটরুট না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. কিডনিতে পাথর- বিটরুটে অক্সালেট নামক একটি উপাদান রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে বিটরুট খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৩. ডায়াবেটিস- ব্লাড সুগার বেশি থাকলে খাওয়াদাওয়ার নানা বিধিনিষেধ থাকে। ডায়াবেটিকদের বিটের জুস খাওয়ার বিষয়েও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. লিভারের সমস্যা- বিট বেশি খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। যদি লিভারের স্বাস্থ্য দুর্বল হয় তাহলে বিট না খাওয়াই উটিত। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে এবং লিভার সংক্রান্ত রোগ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
৫. এলার্জি- ত্বকে ফুসকুড়ি, লালভাব, চুলকানি সহ কোনও এলার্জির সমস্যা থাকলে বুঝেশুনে বিট খান। এতে অ্যালার্জি আরও বাড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।