লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমানো সকলের জন্য সহজ নয়। কোনও মতে ওজন কমলেও ভুঁড়িটা যেন কমতেই চায় না! কড়া ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম করেও ফল শূন্য। হাত-পা রোগা হলেও পেটের চর্বি ঝরানোর চ্যালেঞ্জ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খান অনেকেই। কিন্তু কেন এমন হয় জানেন? আসলে পেটের মেদ কমাতে হলে বেশ কয়েকটি বিষয় নজর দেওয়া জরুরি। কেবল পরিমাণে কম খাওয়াই সমাধান নয়। কারণ অল্প খাবারেও অনেক বেশি ক্যালরি থাকতে পারে। তাছাড়া কোন ধরনের ব্যায়াম করলে পেটের মেদ কমবে, তা জানাও প্রয়োজন। এছাড়াও নেপথ্যে থাকতে পারে আরও বেশ কয়েকটি কারণ।
* কম প্রোটিন-বেশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ডায়েটঃ ব্রেকফাস্টে পাউরুটি, লাঞ্চে ভাত, ডিনারে রুটি এবং মাঝে সিঙারা। বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকেন। সঙ্গে প্রসেসড শস্য, কম ফাইবার এবং ডেয়ারি খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও থাকে অনেকের। আর এই সব কিছুই পেটে মেদ বাড়ার পিছনে থাকতে পারে।
* কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন হরমোন হল কর্টিসল। এই হরমোনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সঙ্গে পেটের চারপাশে চর্বি জমা হয়।
* পেটের ব্যায়ামের অভাব- ওজন কমাতে কার্ডিও সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু ওজন তোলা বা ‘কোর ওয়ার্কআউট’ না করলে পেশী শক্তিশালী হয় না। বিশেষ করে নিয়মিত পেটের ব্যায়াম করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
* বেশি চিট ডে- ডায়েটের মধ্যে থাকলেও সপ্তাহে একদিন মনের মতো খাবার খাওয়ার ছাড় থাকে। যাকে বলা হয় ‘চিট ডে’। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় এই ‘চিট ডে’-র যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনই অতিরিক্ত ‘চিট ডে’ অর্থাৎ বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে সহজে ভুঁড়ি কমানো যায় না।
* অপর্যাপ্ত ঘুম: ওজন কমানো বিশেষ করে পেটের চর্বি ঝরাতে যেমন ডায়েট, শরীরচর্চার ভূমিকা রয়েছে, তেমনই ঘুমও অত্যন্ত জরুরি। যদি পর্যাপ্ত ভাল ঘুম না হয়, তাহলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে খিদে বেড়ে যায় এবং বিপাকও ধীর হয়ে যায়। তখন যতই পরিশ্রম করুন না কেন, পেটের চর্বি ঝরানো সহজ হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।