জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি আলোচনায় থাকা পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন গাজীপুর ভাওয়াল রিসোর্টের দখলে থাকা বনের জমি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, ভাওয়াল রিসোর্টের দখলে থাকা ৩ দশমিক ৬৮ একর বনভূমি উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
সফিকুল ইসলাম জানান, বন বিভাগের ৩ দশমিক ৬৮ একর জমি উদ্ধারের বিষয়ে ভাওয়াল রিসোর্টের করা মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। এ কারণে জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলায় রায় হয়েছে। আদালত স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন আইনিভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের দখলে থাকা বনভূমির জমি সীমানা চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। আমরা আইন অনুযায়ী তাদের ৭ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দেব। তারপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।
এর আগে ভাওয়াল রিসোর্টের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত রবিবার গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বজলুল হক, ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা ডা. মো. সিরাজুল হকসহ ৬ জন বাদী হয়ে গাজীপুর ১ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান মরহুম আবুল হাসেমের ছেলে মো. শওকত আজিজ রাসেল, সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারচালা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মাস্টার, ভাওয়াল রিসোর্ট এন্ড স্পা’র ম্যানেজার সুমন ও একই প্রতিষ্ঠানের অপর ম্যানেজার মো.কামরুল ইসলামকে। আগামী ৬ নভেম্বর বিবাদীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মামলার বিবাদীরা বাদীপক্ষের ক্রয় করা জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। মামলায় ‘ক’ তফসিলের ১০২ শতাংশ জমি বাদির ষোলো আনা স্বত্ব ঘোষণা করে রায় ও ডিক্রি প্রদান, ‘খ’ তফসিলে ১০২ শতাংশ জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অ্যাডভোকেট কমিশন নিয়োগ করে মাপঝোপের মাধ্যমে দখল হস্তান্তরের আদেশ দিতে আদালতের কাছে দাবি করেছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে ইজ্জতপুর সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। সেখানকার নলজানী গ্রামে তিনদিকে বনভূমিবেষ্টিত এই রিসোর্ট এলাকার মানুষের কাছে ‘বেনজীরের রিসোর্ট’ নামেও পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, ৫০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ভাওয়াল রিসোর্টের ৩ দশমিক ৬৮ একর জমি বন বিভাগের। আর নিরীহ কৃষকদের অন্তত ৪০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। শুরুতে ১৯ একর জমি নিয়ে রিসোর্টটির কাজ শুরু হলেও বেনজীরের ক্ষমতার জোরে প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন রিসোর্ট মালিকরা বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। সূত্র : কালবেলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।