লাইফস্টাইল ডেস্ক : আনার বা ডালিম বা বেদানা রোগীর জন্য উপকারী পথ্য হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জাদুকরী গুণাগুণ।
আনার ফল মোটামুটি সারা বছর পাওয়া যায়। ফলের জুস কার না ভালো লাগে? আর তা যদি হয় একদম ফ্রেশ ফল, তাহলে তো কথাই নেই। যেকোনো ওয়েদারে- বিশেষ করে গরমে তো ফলের জুসের চাহিদা বেশ বেড়ে যায়। সব ফলই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে কিছু ফলের নিউট্রিয়েন্ট কনটেন্ট এত বেশি যে ডায়েটে ইনক্লুড করলে অনেক হেলথ বেনিফিট পাওয়া যায়। আনার তেমনই একটি ফল।
প্রিয় পাঠক আজ তাই জানাবো আনারের রসের গুণাগুণ সম্পর্কে।
আনার ফল, এর গাছের পাতা, ছাল, মূল, মূলের ছাল সবই ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ ও লাল হয়। পাকা ফলে বীজ গোলাপি ও সাদা হয়। আনার ফলের মোট ওজনের বৃহত্তর অংশই খোসা ও বীজ।
ছোট ছোট দানা দিয়ে পরিপূর্ণ লাল রংয়ের ফল আনার দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চলুন দেরি না করে আনারের নিউট্রিশনাল ভ্যালু জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিটি আনারে রয়েছে-
ক্যালরি ২৩৪
প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম
ফ্যাট ৩.৩ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫২ গ্রাম
ফাইবার ১১.৩ গ্রাম (ডেইলি ভ্যালু অনুসারে)
ভিটামিন -সি ৩২%
ভিটামিন কে ১৮%
ভিটামিন বি৫ ১৩%
ভিটামিন ই ৭%
ফ্লোটেট ২৭%
ম্যাগনেসিয়াম ৮%
ফসফরাস ৮%
পটাসিয়াম ১৩%
ক্যানসার প্রতিরোধক: আনারের রস ক্যানসার প্রতিরোধে অনেক উপকারী খাদ্য। এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্কিন ক্যানসার ও প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে আনারের রস সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্যও আনারের রস খুবই উপকারী।
রক্ত স্বল্পতা দূর করতে: রক্ত স্বল্পতা দূর করার জন্য আনারে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলটি রুচি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। জন্ডিস, বুক ধড়ফড়ানি, বুকের ব্যথা, কাশি, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পুরোনো পেটের অসুখ ও জ্বর সারাতে সাহায্য করে।
হাড় ভালো রাখতে: হাড়ের সংযোগস্থলে কার্টিলেজ নামে অস্থি রস থাকে, যা হাড়ের ক্ষতি করে। আনারের রসে আছে পটাশিয়াম ও পলিফেনল, যা কিনা কার্টিলেজ নামক রোগ রোধ করার জন্য খুবই উপকারী। আর হাড়ের অস্টিওপোরেসিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই ফল নিয়মিত খেলে।
স্কিন হেলদি রাখে: কোলাজেন এমন একটি উপাদান যা ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখতে সাহায্য করে। আনারের রস কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে স্কিন হয় সুন্দর। সেইসঙ্গে এটি ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকেও আমাদের ত্বককে প্রোটেক্ট করে।
ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায়: প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় আনারের জুস ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মেমোরি ইমপ্রুভ করতে হেল্প করে।
হজমে সাহায্য করে: আনারে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য ন্যাচারাল রেমিডি হিসেবে কাজ করে৷ তাছাড়া এটি গাটে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে গাটকে হেলদি রাখে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: আনারের জুসে ন্যাচারাল সুগার কম্পাউন্ডস থাকায় এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং প্রি ডায়াবেটিস সিম্পটম আছে, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: লো ক্যালরি ও হাই ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল ওয়েট ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে। এই ফল বারবার ক্ষিদে লাগার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওভার ইটিং কমায়। তাই ডায়েটে আনারের জুস রাখতে পারেন।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়: আনারের নিউট্রিয়েন্ট কনটেন্ট খেয়াল করলে দেখা যায়, এতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি। আমাদের শরীর শুধুমাত্র ৩% এর মতন আয়রন কনজিউম করতে পারে। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি আমাদের শরীরে আয়রন অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক থাকে এবং অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায়: প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় আনারের জুস ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মেমোরি ইমপ্রুভ করতে হেল্প করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।