লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের শক্তিশালী উৎস তরমুজ। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। তরমুজে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে রক্ষা করে। এই হাইড্রেটেড ফলটিতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের বিবর্ণতা রোধ করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য রোধ করতেও এর জুড়ি নেই। তরমুজ খাওয়া হলে খোসা ফেলে না দিয়ে ঘষে নিতে পারেন ত্বকে। জেনে নিন এর উপকারিতাগুলো কী কী।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। তরমুজের ক্ষুদ্র, দানাদার কণাগুলো ত্বককে আলতো এক্সফোলিয়েট করে এবং প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন যোগ করে। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়। প্রতিদিন সকালে তরমুজের খোসা ত্বকে ঘষে নিন। দিনভর ত্বক সতেজ থাকবে।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। গরমের দিনে এক গ্লাস তরমুজের রস খেলে যেমন তৃষ্ণা মেটে, তেমনি মুখ এবং শরীরের হারানো আর্দ্রতা পূরণ করতেও কার্যকর ফলটি। এতে প্রায় ৯৩ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে। মুখে তরমুজের খোসা ঘষলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়।
* সংবেদনশীল এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য তরমুজ দারুণ উপকারী। এর শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে শান্ত করে। এটি যেকোনো ধরনের জ্বালা, লালভাব বা রোদে পোড়া ভাব প্রশমিত করতে পারে। পাশাপাশি তরমুজের শক্তিশালী শীতল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। তরমুজের খোসার উপর মধু বা দইও ছড়িয়ে নিতে পারে।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে যা একসাথে কাজ করে ত্বক সুস্থ রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুক্ত র্যাডিক্যালের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ত্বকের সামগ্রিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করে/ সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার সামগ্রিক উপস্থিতি হ্রাস করে ত্বককে সুস্থ রাখে তরমুজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।