লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীতে অসংখ্য কীটপতঙ্গ রয়েছে। এর মধ্যে হাজার হাজার পোকামাকড় যেগুলো খাওয়ার উপযোগী। এসব খাওয়ারযোগ্য কীটপতঙ্গ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। বাড়ছে চাহিদা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে অন্তত ২১০০ প্রজাতির কীটপতঙ্গ রয়েছে, যা খাওয়ার যোগ্য। শুধু তাই নয়, এসব পোকামাকড়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলস।
উচ্চ প্রোটিনের উৎস হিসেবে মিথেন গ্যাস উৎপাদনকারী গবাদিপশুর তুলনায় এসব কীটপতঙ্গকে টেকসই মনে করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কীটপতঙ্গ প্রোটিনের একটি উপেক্ষিত উৎস ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি উপায়। প্রোটিনের উৎস হিসেবে আমরা যেসব প্রাণী খাই তা মূলত গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
বলা হয়েছে, ঘাসফড়িং টাকো মেক্সিকোর কিছু অংশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পিঁপড়া, ফড়িং এমনকি ট্যারান্টুলা খাওয়া হয়।
সম্প্রতি খাবারের উপযোগী এমন ১৬ ধরনের কীটপতঙ্গকে খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির খাদ্য এজেন্সি (এসএফএ) অনুমোদিত কীটপতঙ্গের মধ্যে রয়েছে- পঙ্গপাল, ফড়িং, খাবার কীট ও বিভিন্ন প্রজাতির বিটল।
এই কীটপতঙ্গ যেমন মানুষের খাবারের জন্য ব্যবহার হতে পারে তেমনি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রাণীদের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বন-জঙ্গল থেকে এসব পোকামাকড় সংগ্রহ করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।
খোলামেলা পোশাকে সুইমিংপুলে বজরঙ্গি ভাইজান সিনেমার সেই মুন্নি, ভাইরাল ছবি
বলা হয়েছে, এসব কীটপতঙ্গ অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের কোনও খামারে চাষ করা হয়েছে তার প্রমাণ থাকতে হবে। সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।