আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এখনও বিশ্বে অনেক মানুষ খাবারের অভাবে মরে যায়। অনেক মানুষ অনাহারে দিন কাটায়। কিন্তু এমন একটি এলাকা আছে যে এলাকার প্রায় সবাই প্রতিদিন খাবার না পাওয়ার আশঙ্কায় থাকে। এলাকাটির নাম গাজা উপত্যকা।
চলতি বছরের মার্চের ২ তারিখ থেকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজায় অনাহার, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহভাবে বেড়েছে। গাজা উপত্যকা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যসংকটপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় গাজার জনগণ এখন অনাহারের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এবং অবিলম্বে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে।সেখানে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়াও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনুমোদিত ৯০০টি সাহায্যবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৬০০টি গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে বলে জানা গেছে। তবে এইসব সাহায্যকারী ট্রাকে রয়েছে শুধুমাত্র ময়দা। এই খাবার রান্না না করে খাওয়ার উপায় নেই। গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্য সংকট।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ‘‘জর্ডানের আম্মানে সংস্থাটির গুদামে গাজার জন্য এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও মানবিক উপকরণ মজুদ রয়েছে। এসব ত্রাণ একবারে ২ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সীমান্ত খুলে না দিলে তা পৌঁছানো সম্ভব নয়।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।