বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সাপ ‘বার্বাডোজ থ্রেডস্নেক’ ২০ বছর পর আবারও ফিরে এসেছে। ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র বার্বাডোজে সম্প্রতি পরিচালিত এক পরিবেশগত জরিপে এই বিরল সাপটির সন্ধান পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে হারিয়ে যাওয়া এই সাপটির আবিষ্কার দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

বার্বাডোজ থ্রেডস্নেক তার অতি ক্ষুদ্র আকৃতির জন্য বিশ্ববিখ্যাত; স্প্যাগেটি নুডলের সমান লম্বা এটি। শেষবার এর দেখা পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ২০ বছর আগে। এমনকি আন্তর্জাতিক সংরক্ষণ সংস্থা Re:wild এর “হারানো প্রজাতি” তালিকায়ও এটি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০২৫ সালের মার্চে, বার্বাডোজের পরিবেশ ও জাতীয় সৌন্দর্য মন্ত্রণালয় এবং Re:wild-এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে, স্কটল্যান্ড ডিস্ট্রিক্টের জঙ্গলে পাথরের নিচে খুঁজে পাওয়া এই সাপটি প্রকল্প কর্মকর্তা কনর ব্লেডস এবং Re:wild-এর ক্যারিবীয় প্রোগ্রাম অফিসার জাস্টিন স্প্রিংগারের নজরে আসে।
থ্রেডস্নেক অন্ধ এবং অনেক সময় মাটির কেঁচো বা আক্রমণাত্মক বিদেশি প্রজাতি ব্রাহ্মিণি ব্লাইন্ড স্নেক হিসেবে ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। এর বিশেষ কমলা রঙের দাগ ও অনন্য আঁশের নকশার কারণে প্রজাতি নিশ্চিত করা হয়। পরে সাপটিকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে দ্বীপটির প্রাথমিক বনভূমির ৯৮% ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় থ্রেডস্নেকসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রজাতির জন্য বড় ধরনের হুমকি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, একবারে মাত্র একটি ডিম পাড়ার কারণে এ সাপের প্রজনন সীমিত। পাশাপাশি ভারতীয় মঙ্গুজ নামক আক্রমণাত্মক প্রাণীর শিকার হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
কনর ব্লেডস বলেন, সাপের সংখ্যা কম থাকলে সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে, বিশেষ করে আবাসস্থল হারালে।
জাস্টিন স্প্রিংগার বলেন, থ্রেডস্নেকের পুনরাবিষ্কার আমাদের সতর্ক করছে যে, বার্বাডোজের বনভূমি সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ, প্রাণীকুল ও ঐতিহ্য রক্ষায় অপরিহার্য।
এই পুনরায় আবিষ্কার বার্বাডোজের পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন উদ্যম যোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



