আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর মাত্র চার দিন পরেই বিয়ের কথা ছিল তানু গুরজারের (২০)। এর আগেই পুলিশ ও পঞ্চায়েতের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে মেয়েকে হত্যা করলেন বাবা মহেশ গুরজার। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহেশ যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন; তাকে বিয়ে করতে চাইছিল না মেয়ে তানু। এর বদলে নিজের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন তিনি।
তানু গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি ভিকিকে বিয়ে করতে চাই। প্রথমে আমার পরিবার বিয়েতে রাজি থাকলেও পরে প্রত্যাখ্যান করে। তারা আমাকে মারধর করে এবং প্রতিদিনই মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যদি আমার কিছু হয়ে যায়, তবে আমার পরিবারের সদস্যরা তার জন্য দায়ী থাকবে।’
বিক্রম ভিকি মাওয়াই নামের ওই যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তানুর সঙ্গে তার ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিডিওটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল হয়। এরপর পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট ধর্মবীর সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশ দ্রুত তানুর বাড়িতে যায়। সেখানে আগে থেকে পঞ্চায়েতের লোকজন মিমাংসার জন্য উপস্থিত ছিলেন।
নিজের জীবনের শঙ্কা থেকে তানু আর বাবার সঙ্গে বাড়িতে থাকতে চাননি। তখন পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট তাকে তাদের হেফাজতে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিতে বলছিলেন। তখন একা কথা বলতে চেয়ে তানুকে একটু পাশে নিয়ে গুলি করে দেন বাবা মহেশ। এ ছাড়া তানুর চাচাতো রাহুল তার কপাল, মুখ ও গলায় গুলি করে দেন।
পরে উপস্থিত পুলিশ ও পঞ্চায়েতের সদস্যদেরও গুলি করার হুমকি দিতে থাকেন মহেশ ও রাহুল। তবে পুলিশ মহেশকে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে, তবে রাহুল পিস্তলসহ পালিয়ে গেছেন।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.