জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার সোনাতলায় বিয়ে করতে না পেরে লিখন মিয়া নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার দিগদাইড় ইউপির লোহাগাড়া গ্রামের খাজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লিখন মিয়া ওই গ্রামের মানিক মিয়ার একমাত্র ছেলে। তিনি এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলছাত্র লিখন মিয়া ওরফে নিরু তার বাবাকে নিজের বিয়ের কথা বলেন। এতে বাবা মানিক মিয়া বলেন, বিয়ের চিন্তা মাথায় না এনে ভালো করে লেখাপড়া করতে। এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নিহতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার একটাই ছেলে। মনকে কীভাবে সান্ত্বনা দেই। বাবাকে রাতে রুটি খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলাম। ডাকতে গিয়ে দেখি বাবা আমার তারের সঙ্গে ঝুলে আছে।’
থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত লিখন তার নিজ বাড়িতে শোয়ার ঘরে তীরের সঙ্গে বিদ্যুতের মোটা তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে নিহতের চাচা ইব্রাহিম ও মা লিপি বেগম তার কেটে তাকে নামিয়ে দ্রুত সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মর্তুজা আরেফিন বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে নিহতের স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই।
সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সুফিয়ান বলেন, লোহাগাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে লিখন মিয়া বিদ্যুতের মোটা তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। সোমবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।