জুমবাংলা ডেস্ক: বিয়ের দাবিতে জামালপুর থেকে বরগুনায় আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীকে শর্তসাপেক্ষে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশারেফ হোসেন।
জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে তিনি অবস্থান নেন। এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল প্রেমিক ও তার পরিবার। ওই তরুণীর বাড়ি জামালপুরে। তিনি রাজধানীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেন এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ই থাকেন। মাহমুদুল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত।
তরুণী জানান, মাহমুদুল হাসান রাজধানীর উত্তরায় থাকতেন। একই এলাকায় থাকায় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়, এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের তিন বছর পর মাহমুদুলকে বিয়ে করার কথা বলেন ওই তরুণী। এরপর থেকেই নানা অজুহাতে তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল। গত মাসের শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে গত চার-পাঁচ দিন ধরে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে রাখেন। এরপর তিনি তাকে খুঁজতে ও বিয়ের দাবিতে বেতাগীতে আসেন।
তবে এ বিষয়ে আট দিন পর শনিবার নিজ বাড়িতে আসেন মাহমুদুলের বাবা ও মা। বাড়িতে এসে ওই তরুণীর সাথে কথা বলেন প্রেমিকের বাবা মোশারেফ হোসেন।
মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশারেফ হোসেন জানান, আমি ওই তরুণীর সাথে কথা বলেছি। ছেলের সাথে বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছি। তবে আমি ইতোমধ্যে শুনেছি ওই তরুণী জামালপুরের নিজ এলাকায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছে। যদি তরুণী তার বর্তমান স্বামীর সাথে ডিভোর্সের কাগজ দিতে পারে তবে আমি আমার ছেলের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।