বিনোদন ডেস্ক : ‘আমিই ইন্ডাস্ট্রি’ নিজের সম্পর্কে এমনই বলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ওরফে বুম্বা দা। বাংলা ছবির জগতে আজ বটগাছের মতও আগলে রেখেছেন। উত্তম কুমারের উত্তরসূরি হয়ে বাংলায় আসলেও ততদিনে দর্শকদের মধ্যে এক মধ্য শ্রেণী তৈরি হয়েছে যারা সিনেমা বলতে মনোরঞ্জন ছাড়া কিছু বোঝে না।
তবে সুখেন দাসের পারিবারিক ছবি হোক বা একালে সৃজিত মুখার্জীর রোমহর্ষক ছবি, প্রসেনজিৎ নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। যার অভিনয় নয় প্রশ্ন তুলতে সাহস করেনি দর্শক, সেই অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কাটাছেঁড়া হয়েছে।
টলিউড এবং বলিউডের প্রায় সমস্ত সুপারহিট নায়িকার সঙ্গে অভিনয় সেরে ফেলেছেন প্রসেনজিৎ। পর্দায় প্রসেনজিত-ঋতুপর্ণার জুটি সুপার হিট হলেও, বিয়ে করেছিলেন টলি সুন্দরী দেবশ্রী রায়কে। তিনি ছিলেন প্র সেনজিৎয়ের ছোট বেলার বান্ধবী।
তাই কয়েক বছর প্রেমের পরই প্রসেনজিৎ এবং দেবশ্রী গাঁটছড়া বাঁধেন। কিন্তু দাম্পত্য আসে ফাটল। শোনা যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘১৯ শে এপ্রিল’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন দেবশ্রী। এসময় দেবশ্রীর খ্যাতি ঠিক মেনে নিতে পারেননি প্রসেনজিৎ। এরপরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। দেবশ্রীকে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেওয়ার কথা বলতে থাকেন প্রসেনজিৎ। এমনকি সন্তান ধারণ করে সুখে ঘর কন্যা করার জন্য পরামর্শ দেন দেবশ্রীকে। সেযুগে দাঁড়িয়ে এই প্রস্তাব একেবারেই মেনে নিতে পারেননি দেবশ্রী অগত্যা ডিভোর্স।
পুরুষ মানুষ তায় অভিনেতা কতদিন আর একলা থাকবেন। দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঠিক করলেন। তবে এবার আর অভিনেত্রী পাত্রী নন। একেবারে ব্যবসায়ী কন্যা অপর্না গুহ ঠাকুরতাকে বিয়ে করলেন। বেশ কিছুদিন সুখে সংসার করলেন। প্রসেনজিৎ এবং অপর্ণা একটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা হলেন। মেয়েটির নাম প্রেরণা।
কিন্তু অভিনেতার মন তখন আটকে পর্দার নবাগতা নায়িকার কাছে। গল্পের নতুন মোড়। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই প্রসেনজিৎ য়ের নজরে পরে যান অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। বিবাহ বহির্ভূত এক ঘনিষ্ঠ সংযোগ তৈরি হয় অর্পিতা প্রসেনজিৎয়ের। একথা কানে যেতেই অপর্না ঘর আছেন। ব্যবসায়ী পরিবারের আত্মসম্মানী মেয়ে সম্মান বিকিয়ে পড়ে থাকতে চাননি। তিনি কন্যা প্রেরণাকে নিয়ে চলে গেলেন আর কখনও প্রসেনজিৎ- এর বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।
এখানেই শুরু তৃতীয় বিয়ের মঞ্চ। অর্পিতার গলায় তৃতীয় ও এখনও অবধি শেষ মালা দিয়েছেন প্রসেনজিৎ। যদিও শর্ত ছিল একটাই সংসারের জন্য কিছু বছর ছবির কাজ বন্ধ রাখতে হবে। অর্পিতা তাতে বিশেষ আপত্তি করেননি।
এর মাঝে জন্ম হয়েছে প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিৎ -এর। তবে পুত্রকে সাবলম্বী করে পুনরায় টলিপাড়ায় পা রেখেছেন অর্পিতা। ‘ প্রাক্তন’ ছবির ‘অ্যাডজাস্টমেন্টে’র বানী জীবন দিয়ে করে দেখিয়েছেন অর্পিতা। তাই এই সম্পর্কে সুস্থির হয়েছেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।